গঙ্গারামপুর শহরের দুঃস্থ প্রতিবন্ধী পরিবারের দিকে সাহায্যের হাত প্রশাসনের

0
616

পল মৈত্র :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ১৪ই,এপ্রিল :: দক্ষিণ দিনাজপুরঃ :: রবিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর শহরের এক দুঃস্থ ও প্রতিবন্ধী পরিবারের করুন ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হবার পরেই ,ওই দুঃস্থ প্রতিবন্ধী পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল প্রশাসন।সোমবার সকাল থেকে ওই প্রতিবন্ধী পরিবারের পাশে গঙ্গারামপুর  থানার আইসি, পৌরসভার চেয়ারম্যান এর তরফে  চাল, ডাল,আলু সহ  অন্যান্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।ওই পরিবারের দুইজন সরকারি ভাতা না পাওয়ায়, ভাতা পাইয়ে দেবার আশ্বাস চেয়ারম্যানেরপ্রশাসন তাদের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় দারুন খুশি প্রতিবন্ধী পরিবারটি। গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বুরুজ পাড়া এলাকার বাসিন্দা মুন্না প্রসাদ  গুপ্তা শারীরিকভাবে তিনি ৯০শতাংশ প্রতিবন্ধী | একমাত্র ছেলে মহাদেব প্রসাদ গুপ্তা  দু চোখে অন্ধ হলেও কলকাতা রামকৃষ্ণ একাডেমিতে  পড়াশোনা করছে। ছোটবেলা থেকে তাদের পরিবারের ছেলে মেয়ে  প্রতিবন্ধী।জীবন সংগ্রামে বেঁচে থাকার জন্য দু পা ভাঁজ করে বহু কষ্ট করে টিকিট বিক্রি করে সংসার পরিচালনা করে চলেছেন তিনি। ঘর বলতে মুলি বাঁশের বেড়া দেওয়া একখানে টিনের ছাউনি মধ্যে একটি মাত্র ঘর।

তারা জানিয়েছিলেন এখন লটারির ব্যবসা নেই লকডাউন এর জন্য।  ভাতার টাকা ও রেশনের জিনিসপত্র শেষের দিকে।বাকি দুজনের সরকারি ভাতার টাকার জন্য আবেদন করেও এখনো পেলাম না। রবিবার বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে বুরুজ পাড়া এলাকার দুঃস্থ প্রতিবন্ধী পরিবারের খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পরেই ওই পরিবারের পাশে এসে দাড়িয়েছে প্রশাসন।
সোমবার সকালে থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুমার কুন্ডু ওই প্রতিবন্ধী  পরিবারের কাছে পৌঁছে চাল, ডাল,আলু সহ আরো বেশ কিছু সামগ্রী তাদের হাতে তুলে দেন।এছাড়াও থানা এলাকার গরীব মানুষদের সাহায্য করেন তিনি।

এছাড়াও এদিন গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান অমলেন্দু ভূষণ সরকার ওই প্রতিবন্ধী পরিবারের সাহায্যের জন্য ১৬কেজি চাল তাদের কাছে পৌঁছে দেন।  এবং সরকারি রেশন ছাড়াও প্রতি সপ্তাহে ওই প্রতিবন্ধী  পরিবারকে জিয়ার দিয়ে সাহায্য করবেন বলে জানা গিয়েছে।  পরিবারের  দুই জন ছেলে-মেয়ের ভাতা চালু করার আশ্বাস দিয়েছেন চেয়ারম্যান।

পৌরসভার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন,এমন প্রতিবন্ধী পরিবারের খবর শুনেই আমরা তাদের ১৬কেজি চাল দিয়েছি।পরিবারে যে দুইজন সরকারি ভাতা পায়না তাদের ভাতা পাওয়ার ব্যবস্থা করছি।
প্রশাসনের সাহায্য পেয়ে খুশি হয়ে বিমলা রাজবংশী গুপ্তা জানিয়েছেন,আমাদের পাশে থানার আইসি  ও চেয়ারম্যান  যে ভাবে দাড়িয়েছে তাতে আমরা খুবই উপকৃত হলাম।ধন্যবাদ জানাই তাদের সকলকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here