বাংলায় ১৭৩৭ সালের বিধ্বংসী ঝড়ের স্মৃতি ফিরিয়ে তছনছ করলো উমফুন – নিয়ে গেলো ৭০ এর বেশি তাজা প্রাণ !

0
726

আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ২১শে মে :: কলকাতা :: গত ২৪ ঘন্টায় কোলকাতার বুকে উমফুনের তান্ডব মনে করিয়ে দিলো তিনশো বছর আগে, ১৭৩৭ সালে এমন ঝড় দেখেছিল বাংলা। সেবার হাজার হাজার মানুষ ঝড়ে গাছচাপা পড়েছিলেন। বুধবার সারাদিন অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফানের দাপটে সেই স্মৃতিই ফিরে এল কোলকাতা সহ বাংলায় ।

বুধবার কলকাতায় ঝড়ের গতিবেগ একসময় উঠেছিল ঘন্টায় ১৩৩ কিলোমিটার। যেমনটা হয়েছিল ১৭৩৭ সালে। আর কাকদ্বীপ, বকখালীতে গতিবেগ সর্বোচ্চ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার। তছনছ হয়ে গিয়েছে এই অঞ্চল-সহ দুই ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অংশ। ক্ষতির খতিয়ান এখনও মেলেনি। মৃত্যুর সঠিক সংখ্যাও জানা নেই তবে সরকারি মোতে মৃতের সংখ্যা ৭০ ছাড়িয়েছে ।

এদিকে, আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, এত বড় বিপর্যয়ের পরও সক্রিয় নিম্নচাপ। তার জেরে আজ বৃহস্পতিবারও বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদের ঘন্টায় ৮০-৯০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা। আমফানের ধ্বংসাত্মক চেহারা নিয়ে আগাম সতর্কবার্তা ছিলই। আবহাওয়া অফিস ঘণ্টায় ঘণ্টায় বুলেটিন দিয়ে ঝড়ের গতিপ্রকৃতি জানাচ্ছিল। মুখ্যমন্ত্রী নিজে নবান্নের কন্ট্রোল রুমে ঠায় বসেছিলেন। দিঘা-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের তদারকিতে ছিলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আগেই ৫ লক্ষ মানুষকে সরানো হয়েছিল নিরাপদ আশ্রয়ে। বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগ।

উমফুন আচমকাই অভিমুখ বদলে হলদিয়ার কাছে চলে আসে। এরপর সাগরদ্বীপ ছুঁয়ে কলকাতায়। পূর্ব দিক থেকে কলকাতাকে তছনছ করে দেয়। সবমিলিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাস ছিল ৯০ কিলোমিটার মতো। আমফানের হেড অর্থাৎ প্রথমাংশ স্থলভাগ ছোঁয়ার পর চার ঘণ্টা লেগেছে টেল বা শেষাংশ পেরতে। মাঝের ঘণ্টাখানেক সময় ‘আই’ অংশটি থাকায় ঝড়ের প্রকোপ ততটা বোঝা যায়নি।

তবে এখনও পর্যন্ত উমফুনের ক্ষয় ক্ষতির নিকেশ ।বাংলাকে সচল করতে আজকেই ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের দুটি দল গুজরাট এবং চেন্নাই থেকে সন্ধ্যার মধ্যেই বিমানে কলকাতা এসে পৌঁচচ্ছেন এবং তারা রাজ্যের নির্দেশ মেনেই কাজ করবেন বলে দিল্লির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here