২৪ ঘন্টা লাইভ সংবাদাতা / রাজীব গুপ্তা / ব্যারাকপুর / ৯ জুন ২০২৩ : দুর্নীতি কে কোনো রকম সহ্য করা যাবে না বা প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না, মানুষের কথা ভাবতে হবে, মানুষরে কাজ করতে হবে । মূলতঃ এই ধরনের নানান উদ্যেশে রাজ্য জুড়ে “নব জোয়ার“ এনেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি

আগামীকাল ১০ই জুন তিনি কাঁপা মোড় হয়ে বড় জাগুলির দিকে এগিয়ে যাবেন। তাকে বরণ করবেন বেশ কিছু তাবড় নেতারা। এদিন স্থানীয় ব্যারাকপুর ঋষি বঙ্কিম ব্লক ওয়ান এর সভাপতি হিসেবে কে থাকবেন, রানা দাসগুপ্ত না কি রবীন্দ্রনাথ নিয়োগী।

তবে রানার তোলা অভিযোগ আমরা কিছুটা হলেও সত্যি দেখছি। আমাদের প্রশ্ন, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অঞ্চলে দুর্নীতি মুক্ত করতে এখানে সোনাগাছি থেকেও অধম অবস্থায় থাকা কিছু হোটেল ও বার, কিংবা মথুরা বিলে রাতের অন্ধকারে মাটি পাচার সিন্ডিকেট এর মত পবিত্র স্থান ঘুরে না দেখলেও কি এক বার এই অঞ্চলে হওয়া পরিবেশ বিরোধী দুর্নীতির কিছু উদাহরণ দেখবেন না অভিষেক ?

কারণ নৈহাটী বিধানসভার জেটিয়া থানা এবং কাঁপা চাকলা পঞ্চায়েত অন্তর্ভুক্ত কাঁপা মৌজা, সাগর গ্রামীণ ব্যাঙ্ক গলি, পশ্চিম পাড়ায় একেবারে নরেন্দ্র মোদী থেকেও বুক চওড়া করে নির্ভীক ভাবে দুর্নীতি ও বেআইনি কাজ করে চলেছেন প্রোমোটার রা ।

এখানে প্রথমে পুকুর ভরাট করে তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকটি বহুতল এবার প্রোমোটিং এর জন্য বিঘার পর বিঘা জঙ্গল ও ফলন্ত গাছ কেটে দিচ্ছেন এক দাবাং প্রোমোটার অজয় রায় মহাশয় ।

ছবি তুলতে গেলে নিজেকে কাঁচরাপাড়া তৃণমূলের দাপুটে নেতা মলয় ঘোষ এর ঘনিষ্ঠ হওয়ার পরিচয় দিয়ে আমাদের প্রতিনিধি কে থামানোর চেষ্টা করেন।

এতে আমাদের সাংবাদিক রা ভয় না পাওয়ায় আবার মলয় সেই ঘোষের শ্যালক তথা কাঁচরাপাড়ার ১৮ নাং ওয়ার্ড এর দায়িত্বশীল যুব নেতা “পুচন” কে দিয়ে ফোন করালেন। এতেও আমাদের প্রতিনিধিরা এক পা পিছু না হাঁটলে, তিনি আমাদের চ্যালেঞ্জ করে বললেন। ‘আমাদের কাজ বন্ধ করে দেবে এত সাহস না দেখতে পারে পুলিশ, নেতা মন্ত্রী না কোনো পঞ্চায়েত।

আর হলো সেটাই, যা চেয়েছিলেন এই দুর্নীতিবাজ ধনকুবের প্রোমোটার। আমাদের খবর করার এবং পঞ্চায়েত প্রধান কে সরাসরি অভিযোগ করার সত্বেও তড়িঘড়ি কেটে ফেলেন সমস্ত জীবন্ত গাছ গুলি। আজ পুকুর বুঝিয়ে দেয়া কিংবা গাছ পালা কেটে সাফ করে দেয়ার কুপ্রভাব পড়ছে আমাদের পরিবেশে। ৫ই জুন পালন হলো পরিবেশ দিবস, একটি গাছ একটি প্রাণ এর মত বার্তা দিলেন নেতা, মন্ত্রী, প্রধান ও পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু সেই সময় অন্যায় ভাবে এতগুলো গাছ কেটে দিলেও নীরব সকল প্রশাসনিক বা রাজকনৈতিক লোকেরা।

আমাদের প্রশ্ন এই ধারনেক কাজ কে বাধা না দেয়ায় পরিণতি স্বরূপ পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি অভিষেকের নব জোয়ারে বাধা তৈরি করবে না তো ? রাজ্যের শাসক দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডার কাছে আমাদের আবেদন যে কাঁপা মোড় নিকটবর্তী স্থানে ভুরি ভুরি দুর্নীতির কিছু প্রমান দেখে যাওয়ার।

এক দিকে নব জোয়ার নিয়ে শাসক দলের উৎসাহ কে কটাক্ষ করে চলেছেন বিরোধী দলগুলি, অন্যদিকে শাসক দলের কিছু নেতাদের মদতে এই ভাবে দিনের পর দিন দুর্নীতি বা দুর্নীতিবাজ দের লাগাতার কারচুপি সঠিক প্রমান করে দিচ্ছে বিরোধীদের অভিযোগ কে।