২৪ ঘন্টা লাইভ/ হুগলি/ প্রদীপ বসু/ ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪; গতকাল রাত্রি সাড়ে দশটা নাগাদ দাদপুর থানার ওসির কাছে গোস্বামী মালিপাড়া গ্রামের জনৈক্য সুখরঞ্জন মুখার্জী টেলিফোনে জানান যে শিরা গ্রামের একটি বাচ্চা মেয়েকে তার বাড়ির লোকেরা মেরে ফেলেছে এবং প্রমান লোপাটের জন্য ওই মেয়েটির মৃতদেহ শ্মশানের পথে নিয়ে যাচ্ছে।
এই খবর পেয়ে দাদপুর থানার ওসি এবং তার টিম মধুবাগান গ্রামের শ্মশানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখতে পায় যে অখানে একটি মৃতদেহ সাদা কাপড়র মোড়া অবস্থায় শোয়ান আছে এবং তাকে ঘিরে ওখানে কিছু গ্রামবাসী রয়েছে।
ওসি দাদপুর তৎক্ষণা তাদেরকে আটক করে এবং জিজ্ঞাসা বাদে জানতে পারে যে ওই মৃতদেহ টি সিরা গ্রামে কুমারী মেঘনা মালিকের। শ্মশান যাত্রীরা জানান যে ওই বাচ্চা মেয়েটি বাড়িতে গলায় গামছা দিয়ে আত্মহত্যা করে।
তারপর কাউকে না জানিয়ে কয়েক জন গ্রামবাসীর সহায়তায় তারা এই শ্মশানে এসে তাকে কবর দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। দাদপুর থানার পুলিশ দল সঙ্গে সঙ্গে ওই মৃতদেহ নিজেদের হেফাজতে নেয় এবং ওখানে থাকা শ্রী গোপাল মালিককে এবং অন্যান্য ছ’জনকে আটক করেন।
এরপর, দাদপুর থানার টিম উক্ত মেঘনা মালিকের মৃতদেহর সুরথলহাল রিপোর্ট তৈরি করেন এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওই সাতজনকে থানায় নিয়ে আসেন।
পরবর্তী সময়ে শ্রী সুখরঞ্জন মুখার্জি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে জানান যে মৃতার জ্যাঠা মশায় গোপাল মালিক, পিতা- ক্মল মালিক ওই বাচ্চা মেয়েতিকে বাড়িতে মারধোর করে মেরে ফেলে এবং তাদের বাড়িতে একটি গামছার সাহায্যে ঝুলিয়ে দেয়।
স্থানীয় দাদপুর থানা বা গ্রাম পঞ্চায়েত কে না জানিয়ে গোপনে প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে ওই মেঘনা মালিকের মৃতদেহ মধুবাগান গ্রামের শ্মশানে নিয়ে গিয়ে কবর দিয়ে দিচ্ছিল। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দাদপুর থানাতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইনে ওই মিতার বাবা, তার কাকা গোপাল মুখার্জী এবং যারা শ্মশান যাত্রী ছিল তাদের বিরুদ্ধে কেশ রুজূ হয়।
মৃতার মৃতদেেহর ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের সুরতহল করা হয়েছে এবং মৃত্যুর সঠিক কারন নির্ণয়ের জন্য মৃতদেহ চিনসুরা ডিস্ট্রিক্ট হসপিটালে জন্য পাঠানো হয়। আজ P.M হয়েছে।
দাদপুর থানা মৃতার জেঠু সহ ছয় জন গ্রামবাসীকে গতরাত্রে আটক করেছিল তাদেরকে এই কেসে গ্রেপ্তার করে চুঁচুড়া সদরকোটে প্রেরণ করে। আজ মহামান্য আদালত গোপাল মালিককে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেন।
দাদপুর থানার ওসি এবং তার টিম তৎপরতার সঙ্গে এই সংবাদ পেয়ে মেঘনা মালিকের মৃতদেহ মধুবাগান গ্রামের শ্মশান থেকে উদ্ধার করে আনে।
পরবর্তী তদন্তের সময় মেঘনার মৃত্যুর সঠিক কারণ পুলিশ উদ্ঘাতন করবে যাতে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি হয়।
মৃত মেঘনা মালিকের বয়স আট বছর সে স্থানীয় শিরা প্রাইমারি স্কুলের ক্লাস টুয়ের ছাত্রী ছিল। মেঘনার মা ঘটনার সময় তার মামার বাড়িতে ছিল বলে জানা গিয়েছে।