নিজস্ব সংবাদদাতা :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ১৯শে,জুলাই :: সল্টলেক :: জেলা সফর শেষ করে কলকাতা ফিরেই আজ সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনের পর ভার্চুয়াল সভা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য দিলীপ ঘোষের। তিনি বলেন, চার মাস পর খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন।
বিজেপি সাংসদ অর্জুনের সিংয়ের ওপর হামলা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, কালকে যেভাবে ওনাকে ঘেরার চেষ্টা হয়েছে। মারার চেষ্টা করা হয়েছে। বাইরে থেকে কয়েকশো গুন্ডা পাঠানো হয়েছে। তারা সব জায়গায় বোম্বিং করেছে। পুলিশ অফিসার যাকে সুপারি দিয়ে পাঠানো হয়েছে সে সব থেকে বড় গুন্ডা। সে অর্জুন সিংয়ের নাম ধরে হুমকি দিয়েছে। বলেছে দুদিন পরে তোমাকে দেখে নেবো।
আমি জানি পুলিশ দিয়ে গুন্ডা বাজি কায়েম হবে কিনা। একজন এমপি যে ৭ লাখ ভোটে মানুষের দ্বারা নির্বাচিত। সেই একটা লোককে দিনরাত মারার চেষ্টা চলছে। যেকোনোভাবে তাঁর পরিবারকে ডিস্টার্ব করার চেষ্টা চলছে। তাঁর নাম বদনাম করার চেষ্টা চলছে। কোনো ওয়ারেন্ট কোনো নোটিশ ছাড়া তাঁর বাড়িতে সার্চ করে হচ্ছে। একটা সরকার যদি প্রতিহিংসা পরায়ন হয়, একজন এমপি বা এমএলএ এর জীবন সুরক্ষিত না হয় তাহলে পশ্চিম বাংলায় কি রাজ চলছে মানুষের চিন্তা করা উচিত।
অভিষেকের ভার্চুয়াল সভা নিয়ে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, প্রথম কথা ভার্চুয়ালে খোকাবাবুকে দেখতে পেলাম। খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন হয়েছে। চারমাস খোকাবাবু কোথায় ছিলেন। এখন পাঁচ লাখ জোগাড় করছেন সেবা করবেন। যারা মরে গেল, যারা একটা ত্রিপল পায়নি। যারা খেতে না পেয়ে চাল ডাল না পেয়ে কষ্ট করে আছেন। তখন মনে পড়েনি।
আমরা ৩৫ লক্ষ পরিবারকে চাল ডাল দিয়েছি। ২০ লক্ষ পরিবারকে রান্না করে খাবার খাইয়েছি। খিচুড়ি হোক ভাত হোক খাইয়েছি। তখন এই পাঁচ লক্ষ ভলান্টিয়ার চাল লুঠ করতে ব্যস্ত ছিল কি। আজ হঠাৎ মনে পড়ল। আসলে আমরা যেটা করে ফেলি সেটা টিএমসি যখন বুঝতে পারে তখন এটাকে অনুকরণ করে । আমরা ভলান্টিয়ার দিয়ে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে চাল ডাল পৌঁছে দিয়েছি। সেবা করেছি। এখন টিএমসি মনে করছে মানুষ ক্ষেপে গিয়েছেন। দিদিমনিও সব জিনিস দেরিতে বুঝতে পারেন।
আমরা ভার্চুয়াল সভা করে নিলাম। কোটি কোটি লোক দেখল। আমাদের জন সম্পর্ক ব্যাপক হল। তখন উনি হাসাহাসি করেছিলেন। বিজেপি কোটি কোটি খরচা করে ভার্চুয়াল রালি করেছে। ওনাকে কেউ বুঝিয়েছেন ম্যাডাম এতে খরচা হয় না। তাই উনি বলছেন আমিও একটা ভার্চুয়াল রালি করব।
মোদিজি যখন বলেছিলেন ফেব্রুয়ারিতে সংক্রমন হচ্ছে। সাবধান হোন তখন তিনি হাসাহাসি করেছিলেন। মজা করেছিলেন। তখন তিনি ভেবেছিলেন দিল্লির দাঙ্গা থেকে দৃষ্টি ফেরানোর জন্য মোদি আমাদের করোনার ভয় দেখাচ্ছেন। তারপর উনি বুঝতে পারেন। করোনা কি ভয়ংকর। এখন বাংলার মানুষ বুঝতে পারছেন।