২৪ ঘন্টা লাইভ সংবাদাতা / নাদিয়া / ৮ জুন ২০২২ : লকডাউনের পর থেকেই দুরাবস্থা সাধারণ মানুষের জীবনে। কর্মসংস্থান হারিয়েছেন বহু মানুষ। তবে এতেও সুযোগ খুঁজে বেড়াচ্ছেন অনেকেই।
আমরা দেখেছি ২০১৪ সালের পর অর্থ লাগেনি সংস্থা কে মান্যতা দিতে নারাজ রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকার। বন্ধ হয়েছে হাজার হাজার লাগেনি সংস্থা। সকল কে বেআইনি বলছে প্রশাসন। কিন্তু তার সত্বেও সাধারণ মানুষের টাকা পয়সা নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে কিছু সংস্থা।
তাদের মূল নিশানায় রয়েছেন গ্রামের মানুষ কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে শহরাঞ্চলের মানুষ রা ও পড়ে যাচ্ছেন ফাঁদে। এরম ই এক সংস্থার হদিশ পাওয়া যাচ্ছে নাদিয়া জেলায়। তারা শেয়ার এ লগ্নি করানোর জন্য মানুষ থেকে বেআইনি ভাবে তুলছেন লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা ।
তাদের পদ্ধতি হলো ডিমেট একাউন্ট খোলার নাম করে শেষ পর্যন্ত নিজেদের কোম্পানির একাউন্টে টাকা রাখতে রাজি করিয়ে ফেলেন। এর মানুষ ও প্রলোভনে পড়বেন না কেন, সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঝকঝকে অফিস, বেশ হাই ফাই সজ্জা তে প্রস্তুত অফিসিয়াল কর্মচারী। তা দেখে অনেকেই সঠিক বা বেঠিকের ফারাক করতেই ভুলে যান।
কিন্তু এই ধরনের লগ্নি আকর্ষক থাকলেও ঝুঁকি সম্পন্ন এবং বেআইনি। কারণ যে পদ্ধতি তে তারা অর্থ তুলছেন তাকে বলা হয় ডাব্বা একাউন্ট, আর ডাব্বা একাউন্ট SEBI র নির্দেশ অনুযায়ী আমাদের দেশে বেআইনি।
তবে তাদের এজেন্ট দের দাবি যে বিগত ২ বছর ধরে সঠিক সময় মানুষের মাসিক ইন্টারেস্ট ও কমিশন দিয়ে আসছে সংস্থা, তাই তাদের ভরসা জাগিয়েছে এই কোম্পানির উপর তাই তারা কোটি কোটি টাকা তুলে দিয়েছেন সংস্থার একাউন্টে আর লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা মাসে আয় করছেন।
জানা গিয়েছে এই সংস্থার তরফ থেকে গ্রাহক দের মাসিক ২ থেকে ৩.৫ শতাংশ এবং এজেন্ট দের ২ থেকে ৩ শতাংশ প্রতি মাসে দিয়ে দেয়া হয়, তা ছাড়া সংস্থার নিজের ও খরচ রয়েছে। এমন ও জানা গিয়েছে যে কোম্পানি তে শতাধিক কোটি টাকার লগ্নি তোলা হয়েছে এবং সম্প্রীতি কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে সংস্থার মূল কর্ণধারের সন্তানের জন্মদিন ও পালন করা হয়েছে।
এই সংস্থার একটি শাখাও রয়েছে নাদিয়ার কল্যাণী তে। এক আগেও কল্যাণী তে একাধিক লগ্নি সংস্থার কার্যালয় খুলে ছিল, দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এসে টাকা রেখে যেতেন। প্রশ্ন উঠছে যে এখানেও আগামীদিনের জন্য কোনো এক বড় মাপের কেলেঙ্কারির রূপ রেখা তৈরি হচ্ছে না তো ? প্রশাসন কি সব কিছু জেনেও কিছু জানেন না ? স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের মদতে কি চলছে এই ধরনের বেআইনি কাজ ?