ম্যারাডোনার মৃত্যুতে আর্জেন্টিনায় ৩ দিনের জাতীয় শোক – ময়না তদন্ত হবে দেহের !!

0
415

আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: ২৪ঘন্টা লাইভ  :: ২৬শে নভেম্বর :: কোলকাতা :: ফুটবল জাদুকর ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে আর্জেন্টিনা। দেশটির প্রেসিডেন্সি অফিস থেকে এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা করা  হয়। বিবৃতি অনুযায়ী, ‘দেশটির প্রেসিডেন্ট ম্যারাডোনার মৃত্যুতে জাতীয়ভাবে তিন দিনের শোক পালনের ঘোষণা করেছেন । তাঁর মৃত্যুর দিন পর থেকে এই শোক শুরু হবে।’

গত ৩০ অক্টোবর ৬০তম জন্মদিন পালন করা ডিয়েগো ম্যারাডোনা বুধবার কোটি কোটি ফুটবল ভক্তকে কাঁদিয়ে পরপারে পাড়ি জমান। ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত ৮৬ বিশ্বকাপ কিংবদন্তি বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন।বুয়েনস আয়ার্সের হাসপাতালে তার মস্তিষ্কে জরুরি অস্ত্রোপচারের পর গত মাসে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে  ফিরেছিলেন ম্যারাডোনা। তিগ্রে’তে নিজের বাড়িতে  হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর ।

তবে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হতে মৃতদেহের  ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার শহর স্যান ইসদ্রোর প্রসিকিউটর জন ব্রোয়েট। তিনি বুধবার জানান, তার (ম্যারাডোনার) শরীরে ‘কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই’ এবং সবকিছুই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তার মৃত্যু ‘স্বাভাবিক’ | এক বিবৃতিতে ব্রোয়েট বলেন, ‘স্থানীয় সময় ৪টায় পুলিশ তার মৃতদেহের ফরেনসিক কাজ শুরু করেছে। তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে সান ফার্নেন্দো হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।’

 

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আর্জেন্টিনার হয়ে ৯১ খেলায় ৩৪ গোল করা ম্যারাডোনাকে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে গণ্য করেন অনেক বিশেষজ্ঞ, ফুটবল সমালোচক, প্রাক্তন  ও বর্তমান খেলোয়াড় এবং ফুটবল সমর্থকরা। ম্যারাডোনাই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি দু’বার স্থানান্তর ফি’র ক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। প্রথমবার বার্সেলোনায় স্থানান্তরের সময় পাঁচ মিলিয়ন ইউরো এবং দ্বিতীয়বার নাপোলিতে স্থানান্তরের সময় ৬.৯ মিলিয়ন ইউরো।    চারটি ফিফা বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন ম্যারাডোনা। যার মধ্যে ছিল ১৯৮৬ বিশ্বকাপ, যেখানে তিনি আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন এবং দলকে বিশ্বকাপ জয়ে নেতৃত্ব দেন। ওই প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা ২–১ গোলে জয় লাভ করে।

আর্জেন্টিনার পক্ষে দুটি গোলই করেছিলেন ম্যারাডোনা এবং ওই দুটি গোলই ফুটবল ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে ভিন্ন ভিন্ন কারণে। প্রথম গোলটি ছিল হ্যান্ডবল যা ‘হ্যান্ড অব গড’ নামে খ্যাত। দ্বিতীয় গোলটি তিনি প্রায় ৬০ মিটার দূর থেকে ড্রিবলিং করে পাঁচ ব্রিটিশ ডিফেন্ডারকে পাশ কাটিয়ে করেন। ২০০২ সালে ফিফা ডটকমের ভোটাররা গোলটিকে শতাব্দীর সেরা গোল হিসেবে নির্বাচিত করেন। ২০০৮ সালের নভেম্বরে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নেন। ফুটবলার হিসেবে দুর্দান্ত হলেও কোচ হিসেবে ছিলেন ব্যর্থ। শেষদিকে এসে দ্বিতীয় সারির ক্লাবেরও দায়িত্ব পালন করেন ফুটবলের মহানায়ক ডিয়েগো ম্যারাডোনা।

 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here