২৪ ঘন্টা লাইভ সংবাদাতা / শুভম রায় / হালিশহর / ২সেরা মার্চ ২০২৩ : হালিশহর জুড়ে এক সময় দৌরাত্ম লক্ষ্য যেত বেআইনি পুকুর ভরাটকারীদের। কিন্তু বর্তমানে পুকুর ভারত এর কাজ অনেক টা শিথিল হলেও এখন দেখা যাচ্ছে দখলদারি প্রথা তুঙ্গে ।

রেলের জমি বা পরিত্যক্ত কোয়াটার দখল এর হাজার হাজার উদাহরণ এর ছাড়া নিজের জমি রাস্তা পর্যন্ত থাকলে সেটা দখল হচ্ছে, বাড়ির উল্টো দিকে সরকারি জমি থাকলে সেটা দখল হচ্ছে।

এমন ই এক দৃশ্য দেখা গেলো হালিশহর ৫ নাং ওয়ার্ডে। এখানে মনসা তলা মন্দিরের পাশে একটি বাড়ি তে চলছে এক্সটেনশন এর কাজ। সেখানে দেখা যাচ্ছে বাড়ির সামনে থাকা খালি জায়গা ঘিরে চলছে পাকা ছাদ ঢালাই।

এই নির্মাণ কে অতিক্রমণ বললেই চলে কারণ এখানে প্রথমে পৌরসভা থেকে কোনো রকম অনুমতি নেওয়া হয়নি। এই নির্মাণে দেখা যাচ্ছে রাস্তা থেকে ন্যূনতম ছাড় না মেনে সম্পূর্ণ জমি তে একদম রাস্তা সাঁটিয়ে পিলার ঢালাই করে ছাদ করে নিয়েছেন বাড়ি মালিক।

এই কাজ করার অভিযোগ উঠছে নিরঞ্জন ও সুরঞ্জন দাস নামের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা স্পষ্ট জানিয়েছেন যে পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে এবং স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার সাথে কথা বলেই (বা রাফা করেই) এই কাজ করেছেন।

ইঞ্জিনিয়ার সাহেব না কি তাদের অনুমতি করিয়ে দেবেন বলে কথা দিয়েছেন তাদের কে। এর বাবদ কিছু আলাদা টাকা ও না কি এক মাধ্যস্থের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়েছেন, তারা এমন ই জানালেন সাংবাদিকদের।

তাই তারা এই কাজ করার সাহস পেয়েছেন। জানা গিয়েছে সুরঞ্জন দাস এক সক্রিয় বামপন্থী নেতা। তার পরিবারের না কি ভালো দাপট রয়েছে মনসাতলা এলাকা জুড়ে।

বিগত পৌরসভা ভোটে তিনি বাম প্রার্থী ও হয়েছিলেন। এবার প্রশ্ন হলো যে তিনি যতই বড়ো নেতা হন না কেন, এভাবে রাস্তা অতিক্রমন করে পাকা ছাদ ঢালাই করতে পারেন কি ? তাহলে পৌরসভা বা পৌর আইন এর প্রয়োজন কি ?

তাহলে কি হালিশহরেও cpim আর তৃণমূল এর মধ্যে রয়েছে কোনো গোপন আঁতাত, যেখানে এই ভাবে মিলে মিশে দুর্নীতিতে সঙ্গী হচ্ছেন উভয় ? তবে বিষয় টা স্থানীয় পার্ষদ বাসুদেব সাহা কে জানানো হয়েছে।

তিনি অস্বাসান দিয়েছেন যে উপ প্রধান কে সম্পূর্ণ ব্যাপারে সাথে অবগত করানো হয়েছে ।
এর বিরুদ্ধে শীঘ্রই কোনো কড়া পদক্ষেপ নেয়া হবে। এবার দেখার বিষয় কি পদক্ষেপ নিচ্ছে হালিশহর পৌরসভা।