দানিশ শেখ :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ১৮ই,অক্টবর :: চন্দননগর :: চন্দননগরের সবথেকে অভিজাত এলাকা বড়বাজারের বনমালী পাল রোডের আবাসন কাকলি টাওয়ারে বেশ কিছুদিন ধরেই কিছু আবাসিক কেবলমাত্র পরিবহন ব্যবসার জায়গা করার জন্য ওই আবাসনের কিছু সার্বিক এলাকা অবৈধ ভাবে দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে ।
কিছুদিন আগেই আবাসনের পিছন দিকের সেপটিক ট্যাঙ্কের ওপর জোর করে একটি গ্যারেজ বানাবার চক্রান্ত শুরু করে । তাদের বক্তব্য ছিল যেহেতু এটি সেপটিক ট্যাংক তাই এখানে কোনো নির্মাণ করলে তার জন্য চন্দননগর মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের কোনো অনুমতি লাগেনা । তাই তারা সেখানে কিছু স্ট্রাকচার ভেঙে গ্যারেজ বানাবার কাজ শুরু করে দেয় । সেই সময় কয়েকজন আবাসিক এই অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান এবং চন্দননগর মিউনিসিপাল কর্পোরেশনে অভিযোগ দায়ের করেন । বর্তমান প্রশাসক শ্রী স্বপন কুন্ডু সঙ্গে সঙ্গেই পৌর ভবন থেকে ইন্সপেক্টর পাঠিয়ে সেই অবৈধ নির্মাণ বন্ধ করে দেন ।
প্রাথমিক ভাবে হার হলেও কিন্তু ওই অবৈধ নির্মাণকারীরা একবারে দমে যাননি । তাঁরা সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন । শনিবার চন্দননগর মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের পুজোর ছুটির আগে শেষ দিন ছিলো । তাদের ওই ছুটির মাঝেই নতুন করে সামনের গ্যারেজের একটি অংশ ভেঙ্গে তাকে বর্ধিত রূপ দিয়ে ফ্ল্যাটের কমন এলাকা দখল করে নতুনকরে গ্যারেজের দ্বিতীয় মুখ তৈরির চেষ্টা করবে বলে জানাতে পারেন ওই আবাসিকরা যাঁরা আগেরবার বাধা দিয়ে ছিলেন ।সঙ্গে সঙ্গে শনিবার শেষ কাজের দিনেই তাঁরা পৌর কমিশনার,পুলিশ এবং প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়ে দেন ।
যথারীতি পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক ওই জমিদখলকারী আবাসিকরা আজ রবিবার সকালেই গ্যাস কাটার ও নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে কাজ শুরু করতে যান। সঙ্গে সঙ্গে নারাজ আবাসিকরা বেরিয়ে এসে মানব শৃঙ্খল তৈরী করে খবর দেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত তৃনমূল নেতা সম্বুদ্ধ দত্তকে । সম্বুদ্ধবাবুও অত্যন্ত তৎপরতার সাথে চন্দননগর মিউনিসিপাল কর্পোরেশনে খবর দেন । সেখান থেকে নিরীক্ষকরা এসে যান এবং ওই নিরীক্ষক এবং স্থানীয় শুভবুদ্ধি সম্পপন্ন নাগরিকদের সহায়তায় জবরদখলকারীরা ফিরে যেতে বাধ্য হন। কর্পোরেশন থেকে বলা হয় এই জায়গায় কোনোরূপ নির্মাণ অবৈধ । আবাসিকরা সময়োচিত তৎপরতার জন্য সম্বুদ্ধবাবুকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ।