২৪ ঘন্টা লাইভ সংবাদাতা / রাজীব গুপ্তা / ১৮ নভেম্বর ২০২২ : আজ থেকে ৫ মাস আগে ৮ ই জুন আমরা প্রতিবেদন করেছিলাম “বেআইনি লগ্নির হদিস নাদিয়ায় – প্রশাসন কি নিন্দ্রায় ? “ তার পর থেকে আরো বেশি মাত্রা পেলো এই বেআইনি সংস্থা।
লোক দেখানোর জন্য আয়োজন করেন কোটি টাকার বাজেটে কখনো ছেলের জন্মদিন কিং বা রিফ্রেশমেন্ট পার্টি। সেই পার্টি গুলো তে অভিনয় জগৎ থেকে শুরু করে আমন্ত্রিত থাকেন প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক উচ্চ নেতৃত্ব রা।
গ্রাহক দের মনে বিশ্বাস জোগাতে বিজ্ঞাপন দেওয়া বৃহদ কিছু মিডিয়ায়।
কিন্তু তাতে কি সত্য কে মিথ্যের মুখোশ দিয়ে ঢেকে রাখা সম্ভব ? ২০১৪ সালে সারদা কাণ্ডের পর RBI অনুমতি ছাড়া যে কোনো অর্থলগ্নি কে বেআইনি বলেই ধার্য করা হয়েছে।
অনেক সময় SEBI অন্তর্ভুক্ত সংস্থা ও বাজার থেকে পুঁজি কালেক্ট করতে পারে তবে সেখানে কোনো লাভের গ্যারান্টি বা প্রলোভন দিতে পারে না।
কিন্তু ইতি মধ্যে নাদিয়া জেলায় গজিয়ে উঠা এক সংস্থা বেহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছে বেআইনি ভাবে লাগেনি করার কাজ। তারা Profit Axis, সটক্স গুরুকুল, PMS, Trade Next এর মতন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে বহন করছেন তাদের কোম্পানি।
নিশ্চত মাসিক লাভ ও আকর্ষক কমিশনের লোভ দেখিয়ে তুলে যাচ্ছে বৃহদ আকারের । কল্যাণীর তে সেন্ট্রাল পার্কার নিকট Axis ব্যাঙ্ক এর ঠিক উপরে খোলা হয়েছে ঝকঝকে চমকদারী একটি চোখে লাগার মতন কার্যালয়।
এই সংস্থায় কাজে নিয়োগ করা হয়েছে শতাধিক এজেন্ট যারা প্রতি মাসে কএকশো কোটি টাকা নিয়োগ করিয়ে দিচ্ছেন সাধারণ এবং লোভী মানুষদের।
শুভ্রকান্তি নাগ ও সুপ্রকাশ দেবনাথ নামক দুই প্রতারকের নেতৃত্বে ক্রমশঃ বৃহদ আকার নিয়ে নেওয়া এই বেআইনি লগ্নি সংস্থা তে এজেন্ট হিসেবে কাজে যুক্ত হয়েছেন নাদিয়া জেলা ছাড়া কাঁচরাপাড়া থেকে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বেশ কিছু মানুষ।
এক এজেন্ট এর সাথে আমরা কথা বললে সে জানায়, বর্তমানে কাজের পরিস্থিতি খুব ই শোচনীয় তাই অন্য্ কোনো আয়ের স্রোত না থাকায় পরিবারের পেট চালাতে এই কাজে যুক্ত হতে হয়েছে।
তার মানে এখানে অনেকে অভাবে কাজ করছেন তো কেউ কেউ আবার কোটি কোটি টাকা মানোর লোভেও কাজে যোগ দিয়েছেন।
যখন SAHARA INDIA নামক দেশের বৃহদতম লগ্নি সংস্থা গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিকে পারছে না , সেই সময় সাধারণ মানুষের টাকা এই ধরনের সংস্থায় লগ্নি করিয়ে ভাগ হিসেবে পেয়ে যাচ্ছেন মোটা অংকের কমিশন।
সংস্থার কিছু আধিকারিকেরা সেই সময় দাবি করেছিলেন যে স্থানীয় শাসকদলের সমস্ত নেতার পাশাপাশি কলকাতা থেকেও কিছু বড় নেতাদের সাথে তাদের কোম্পানির মালিকদের ওঠা বসা রয়েছে।
প্রসঙ্গত কল্যাণী তে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘন ঘন ছিল যাওয়া আসা। তাই তাদের দাবি অনুযায়ী এখন সন্দেহ করছেন অনেক গ্রাহক এবং এজেন্ট।
ইতি মধ্যে প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমে বিভিন্ন স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে বিজ্ঞাপ্তি জারি করে এই সংস্থা এবং এই ধরনের সমস্ত সংস্থা থেকে সতর্ক থাকতে দেওয়া হয়েছে বার্তা।
এর পর থেকেই না কি টাকা তোলার জন্য ব্যস্ত হয় পড়েছেন গ্রাহকেরা। কারণ এই সংস্থার কর্তারা বারংবার যেমন আকর্ষণীয় নিশ্চিত লাভের কথা বলে থাকেন তেমন দাবি করেন যে তাদের সংস্থা না কি SEBI এবং বিভিন্ন স্টক এক্সচেঞ্জ নথিভুক্ত তথা টাকা তোলার অনুমতি প্রাপ্ত।
এখন এমন ও খবর রয়েছে যে কল্যাণীর রয়েল নামক এক হোটেলে সংস্থার উচ্চ পদাধিকারীরা বিগত কদিন ধরে মিটিং করে বোঝানোর চেষ্টা করছেন এজেন্ট এবং আমানতকারীদের। তবে মিথ্যা তো মিথ্যায় থেকে যায় , সত্য দেরি হলেও মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়।
আমাদের ও আবেদন এই সংস্থার এজেন্ট দের কাছে যে নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য অন্যের সঞ্চয়ের সাথে খেলা থেকে বিরত থেকে ভালো কাজে যোগ দেয়া উচিত।
ঈশ্বরের কাছে আপনাদের সদ্বুদ্ধি ও শক্তি প্রদানের প্রার্থনা করি।
জানিয়ে রাখি এই সংস্থার বিরুদ্ধে তেহট্ট থানায় একটি জালিয়াতির মামলাও রয়ছে । এমন কি এই সংস্থার সাথে বিরাট মাপের কিছু নেতাদের ঘনিষ্টতা তো আছেই তার সাথেই না কি কোনো বিরাট লটারি পাওয়ার খবর ও আছে ।