এই প্রথম শুশ্রুষা শিশু সেবা নিকেতনে সুস্থ হল একদিনের করোনা আক্রান্ত শিশু

0
183

সৌভিক কর ::২৪ঘন্টা লাইভ ::২৬ই জুন ::পূর্ব মেদিনীপুর :: করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ে এখনো চলছে।বেশ কিছু বিধিনিষেধ যায় একপ্রকার লকডাউন বলা যায়। আর এবার একদিনের শিশু করোনা প্রজেটিভ ,সুস্থ করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের শিশু চিকিৎসক ডঃ প্রবীর ভৌমিক। পাঁশকুড়ার চৈতন্যপুর দুনম্বর অঞ্চলে সরাইঘাট গ্রামের মিষ্টি ভূঁইয়া ফুটফুটে শিশুর জন্ম দেন। জন্মের পর শিশুর ওজন ছিল এক ১৮০০ গ্রাম।

শিশুটির জন্ম হয়েছিল পাঁশকুড়া মেছোগ্রাম একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। শিশুটি জন্ম গ্রহণ করার পর থেকেই প্রবল শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। ছিলনা কোনো সাড়শব্দ, ভয় পেয়ে শিশুটির বাবা শান্তনু ভূঁইয়া মা মিষ্টি ভূঁইয়া কোলাঘাটের শুশ্রুষা শিশু সেবা নিকতনে নিয়ে এলে সেখানেই শিশু স্পেশালিস্টের হাতেই নতুন জীবন পায় শিশুটি , হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন শিশুটির পরিবার।
এ যেন নজিরবীহিন ঘটনা ।

ডঃ প্রবীর ভৌমিক বলেন প্রথম ভগবানপুরের ৬ দিনের শিশু কোভিড প্রজেটিভ হয়েছিল, এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ১০ দিনের শিশুও কোভিড প্রজেটিভ হয়। কিন্তু একদিনের শিশু কোভিড প্রজেটিভ আজ চোখ খুলে দিল আমাদের অভিমত চিকিতসকের। জন্ম হয়েছিল অন্য এক নার্সিংহোমে সেখান থেকেই শ্বাসকষ্ট নিয়ে আমার কাছে আসে। এইটুকু শিশুর সিআরপি একশো , ফুসফুসের প্রদাহের মাত্রা এক্সরের মাধ্যমে অমিল পাওয়া যায়।বৈজ্ঞানিক মতে যে চিকিতসা হয় ,তা থেকে একেবারে ভিন্ন ধরনের ফুসফুস। প্রেসার কম,ফুসফুসের প্রদাহ অমিল, সিআরপি স্বাভাবিকের তুলনায় একশো সেই কোভিড প্রজেটিভ শিশুকে অক্সিজেন স্যালাইন  , ভ্যান্টিলেশনের মাধ্যমে সুস্থতার পথে এগোয়।

Advertisement

তবে শিশুটির মাতৃগর্ভে থাকাকালীন ইনফেকশন হয়। কারন গর্ভবতী মায়েরা কোভিড প্রোটোকল মানছে না ,যাঁর ফলে এমন কোভিড প্রজেটিভ হয়েছে শিশুটির। তবে ৬ দিনের মাথায় সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যায় শিশুটি ।

শিশুটির বাবা বলেন আমরা আমাদের বাচ্চার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম, জন্ম নেওয়ার পর থেকে কোনো সাড়া শব্দ ছিল না ,এখানে ভর্তি করার পর যখন কেঁদে ওঠে আমার বাচ্চা, তখন ডাঃ প্রবীর ভৌমিক বলেন শিশুটির শ্বাসকষ্ট রয়েছে ,সেদিন থেকে চিকিতসা চলছিল , আজ সন্পূর্ণ সুস্থ , মায়ের কোলে শিশু ফিরল। আজ মিষ্টি দেবী এবং সান্তনু বাবু তার ছোট্ট ফুটফুটে শিশুটিকে নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দিবেন। ছয় দিনের শিশুকে নিজের চোখে দেখতে পাবেন তার দাদু, ঠাকুমা এবং আত্মীয় পরিজন। তাই আজ ভূঁইয়া পরিবার খুবই আনন্দিত ,খুশি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here