24 ঘন্টা লাইভ সংবাদাতা / রাজিব গুপ্তা/ ব্যারাকপুর/ 18 ফেব্রুয়ারী: পৌরসভার নির্বাচনে শাসক দলের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বিজেপি তা ঠিক । লড়াই দিতে ও কোনোরকম খামতি রাখতে চাইছে না রাজ্য নেতৃত্ব ।
এমনকি এলাকায় এলাকায় প্রচারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কোথাও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তো কোথাও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ।
কিন্তু বীজপুর জুড়ে দুটি পৌরসভা হালিশহর ও কাঁচরাপাড়ার বেশিরভাগ বিজেপি প্রার্থীদের জা মনভাব টা দলের জন্য ভয়ঙ্কর বলেই মনে করা হচ্ছে ।
কারণ এখানে প্রথমে তো 47 টি ওয়ার্ডের 47 টি প্রার্থী দিতেই ব্যর্থ থাকলো দল । তার মধ্যেও দু-একজন প্রত্যাহার ও করেছেন মনোনয়ন ।
আর যারা আছেন তারা দুএকজন ছাড়া রাস্তায় নেমে নয়, শুধুমাত্র নিজেদের ফেসবুকে ই চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার । তারা এখন বাস্তব থেকে বেশি ডিজিটাল প্রচারে পাচ্ছেন নিরাপত্তা ।
জা দেখা যাচ্ছে, অনেকেই শাসক দলের ভয়ে বেরোচ্ছেন না তো কেউ কেউ আবার পছন্দের মত সিট পাই নি বলে অজুহাত দেখিয়ে চুপচাপ বসে আছেন ঘরে । যারা লড়াইয়ের আগেই ভয় খেয়ে যাচ্ছেন, তারা জিতলেও কাজ করবেন কি করে ? এটা এখন সাধারণ মানুষের প্রশ্ন ।
তবে অন্দরমহলের খবর কিন্তু একদমই আলাদা । শোনা যাচ্ছে তাদের অঞ্চলের বেশিভাগ প্রার্থীরা নিজেদের প্রচার ছাড়া শাসক দলের প্রার্থীদের কাছে ঠিক করছেন নিজের রেট । মানে প্রচারে না নেমে তারা টাকা-পয়সার রফা করে তৃণমূল প্রার্থীদের হয়েই প্রচার করবেন এমন ইঙ্গিত ।
লক্ষ্য করা যাচ্ছে বেশিরভাগ প্রার্থীরাই দেওয়াল লিখন পর্যন্ত করেনি, না সেরম লাগিয়েছেন দলের পতাকা বা ব্যানার । তারা হয় তো “Mukul Roys 1st Law of Politics” ‘ক্রিজে থাকলেই রান আসবে’ কে মাথায় রেখে টিকিট নিয়েছেন । জিজ্ঞাসা উঠছে যে তাদের টিকিট নেওয়ার উদ্দেশ্যটা কি ছিল “লড়াই না কামাই” ? মানে ভোট আসবে না হলে টাকা আসবে ?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না বিজেপি সমর্থকরা, তাই কেউ ই আর প্রার্থীদের সাথে মিছিলে জেতে চাইছেন না । কারণ তাদের মনে পড়ে যাচ্ছে “Mukul Roys 2nd Law of Politics” বিজেপি মানেই তৃণমূল ।
আজ বিজেপি হয় প্রচার করবেন কাল আবার তৃণমূল হয় যাবেন । আর মার খাবেন সাধারণ কর্মীরা ।
ঠিক যেমন হোলো হালিশহর এর বাসিন্দা সৈকত ভাওয়ালের সাথে । বেচারা জার জন্য প্রচারে গিয়ে প্রাণ হারালো, সেই আজ তৃণমূল। তার পরিবারের উপার্জনের একমাত্র সূত্র ছিলো সৈকত । কিন্তু তার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী চাকরি পেয়ে হয় তো খুশি, কিন্তু তার মা কিংবা পরিবারের বাকিদের কি অবস্থা কেউ কি ভেবে দেখেছেন ? কারোর কাছে সময় নেই ।
তবে সোনা যাচ্ছে জে এখনকার বেশ কিছু বিজেপি প্রার্থীরা নিজেদের রেট ঠিক করেছেন 40000/- থেকে 2 লাখ পর্যন্ত ।
যদি তাই হয়, সেভাবে বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে এখানে ওভার কনফিডেন্স রয়েছে বিজেপি কিন্তু আসলে ওয়াকওভার পাচ্ছে তৃণমূল ।
