২৪ ঘন্টা লাইভ সংবাদাতা / রাজীব গুপ্তা / ব্যারাকপুর / ২৭ মার্চ ২০২৩ : তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকে অনেকেই ছিলেন দলের পুরানো সৈনিক। যারা বাম আমলে সহ্য করেছেন CPIM এর চোখ রাঙানি থেকে বিভিন্ন রকম অত্যাচার।
কিন্তু ২০০৯ সালের পর যখন আসে ভালো সময়, তখন স্বজন পোষণ এর জেরে অনেকেই হয় যান নেতা। বিভিন্ন জায়গায় দলের পুরানো কর্মীরা সম্মান পেলেও বিপরীত দৃশ্য ছিল বীজপুরে। এখানে পুরানো অনেক সক্রিয় নেতা কর্মী ও দক্ষ প্রার্থীরা থাকলেও মুকুলপুত্র হওয়ার সুবাদে বিধানসভার টিকিট দেওয়া হয় সুভরাংশু রায় কে।
যাকে পূর্বে কোনোদিন মানুষের কাজে দেখা যাই নি। এতে ক্ষুন্ন হলেও নেত্রীর মর্যাদা রাখতে সকলে মেনে নেন তাকে প্রার্থী। তবে নেত্রীর দয়ায় দুবার বিধায়ক হয়েও ভয়ে কিংবা অতিরিক্ত লোভে পড়ে দলত্যাগ করে দিল্লি সফর করলেন হাপন।
তৃতীয়বার গেরুয়াধারী গৌসেবক হয়ে গোহারান হারলেন এখানকার এক দক্ষ নেতা ও বিশিষ্ট সমাজসেবী সুবোধ অধিকারীর কাছে। বীজপুর বাসীরা বুঝলেন ফারাক। সুভরাংশু কে তার দলের নেতারাও সমাজসেবী বলতে দ্বিধা পাচ্ছিলেন কারণ বিধানসভা টিকিট পাওয়ার আগে তার কাছে না ছিল বড়ো বড়ো প্রতিষ্ঠান না কোনোদিন সমাজসেবা করার সেরম কোনো অভিজ্ঞতা।
তবে সুবোধ অধিকারী কে তারা তবে থেকে দেখছেন যখন না তিনি ছিলেন বিধায়ক না কোনো পদে। তিনি সর্বদা থাকতেন মানুষের বিপদে। তাই যতই কুৎসা করছে তারই দলের কিছু নেতারা কিন্তু শেষ হাসি হাসছেন সুবোধ অধিকারী।
সম্প্রতি হালিশহর ৪ নাং ওয়ার্ডে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা কে কেন্দ্র করে অতিউৎসাহী হয়ে পড়েছিলেন সুভরাংশু রায়ের নেতৃত্বে সুবোধ বিরোধী কিছু ব্যবসায়ী ও নেতারা। বিভিন্ন মঞ্চ থেকে সুবোধ কে চ্যালেঞ্জ জানাতেন কিংবা তাকে ক্ষমতাচুত্য করার প্রতিজ্ঞা নিতেন তারা ।
কিন্তু সময়ের সাথে সব বদলাচ্ছে আর সামনে আসছে বাস্তবিক চিত্র । কদিন আগেই প্রকাশ্যে এক সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে সুবোধ বিরোধী না বলে সাফাই দিলেন স্থানীয় শিখ সম্প্রদায়ের হোটেল বার ও মদ ব্যবসায়ী। বিভিন্ন সময় তার হোটেল থেকে মেয়েছেলে ধরা পড়ে থাকে তাই সমস্ত নেতাদের সাথে ঘনিষ্টতা রাখতে হয় তাকে বলে জানালেন সেই ব্যবসায়ীর এক ঘনিষ্ঠ।
গত ২৬ মার্চ আনুষ্ঠানিক ভাবে হালিশহর ৪ নাং ওয়ার্ডে সম্বর্ধনা দেয়া হলো কামাল অধিকারীকে। বিশেষ করে দেখে যেত বিধায়কের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে ব্যবহার করা হতো মৃত্যুঞ্জয় বাবু কে, এবং তিনি সেটা বুঝতে পেরে অযথা দল বিরোধী কার্যকলাপ থেকে বেরিয়ে আসলেন।
কারণ বীজপুরে দলের জন্মলগ্ন থেকে রাজনীতি করেও সেরাম কোনো সম্মানীয় পদ তাকে দেন নি সুভরাংশু কিন্তু ২০১৯ এ এলাকার দায়িত্ব হাতে আসতেই মৃত্যুঞ্জয় দাস কে উপ প্রধান করেছিলেন সুবোধে। অন্যদিকে হালিশহর পৌরসভার আড়াই বারের প্রাক্তন পৌরপ্রধান অংশুমান রায় এখন সুভরাংশু ঘনিষ্ঠ যার দুর্নীতির প্রধান বিরোধী ছিলেন এই মৃত্যুঞ্জয় দাস,
সেকারণেও সুভরাংশু গোষ্ঠী ত্যাগ করলেন মৃত্যুঞ্জয় দাস বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন স্থানীয় দূর্গা ভবনে একটি ভব্য আয়োজন করে সকল কর্মী সমর্থকদের মাঝে কমল অধিকারী কে বরণ করে নিলেন মৃত্যুঞ্জয় দাস (শিবা ) ।
কেউ কেউ বলছেন এই সুসম্পর্কের মধ্যে সহযোগিতা ছিল হালিশহর টাউন তৃণমূল সভাপতি ও পার্ষদ প্রবীর সরকারের , কারণ এই মাসের ৭ তারিক বীজপুর বিধায়কের আয়োজিত বসন্ত উৎসবে মৃত্যুঞ্জয় দাস কে নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রবীর সরকার।
তবে এই দূরত্ব বিয়োগের ঘটনায় খুশি বীজপুরের সক্রিয় কর্মীরা বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে ।