করোনার টিকার ট্রায়ালে পশ্চিমবঙ্গের হাজার স্বেচ্ছাসেবক টিকা নিতে পারবেন

0
271

আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: ২৪ ঘন্টা লাইভ  :: ২২শে ,নভেম্বর :: কোলকাতা :: ভারতের তৈরি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সম্ভাব্য টিকা কোভ্যাক্সিনের প্রথম ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হবে আসন্ন ডিসেম্বর মাসের শেষে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের ২৬টি পরীক্ষাকেন্দ্রে ২৫ হাজার ৮০০ স্বেচ্ছাসেবকের ওপর এই পরীক্ষা করা হবে।কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের এই পরীক্ষায় অংশ নেবে কলকাতার কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিজেস (নাইসেড)। নাইসেডের পরিচালক শান্তা দত্ত জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে এক হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ওপর এই টিকা প্রয়োগ করা হবে।

নাইসেডের পরিচালক শান্তা দত্ত বলেছেন, সব স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে এই টিকা প্রয়োগ করা হবে না। অর্ধেককে দেওয়া হবে তরলজাতীয় অন্য কিছু, যাতে দেখা যাবে কীভাবে এই টিকা কাজ করছে। তবে অংশগ্রহণকারীরা জানতে পারবেন না কাদের প্রকৃত কোভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে আর কাদের দেওয়া হয়েছে তরল পদার্থ।শান্তা দত্ত বলেন, এই চূড়ান্ত পর্বের স্বেচ্ছাসেবকদের এক বছর পর্যন্ত থাকতে হবে নিজ নিজ বাড়িতে, যাতে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে তাঁদের শারীরিক অবস্থা ও টিকার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানা যায়। বিশেষ করে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে যাতে তাঁদের জরুরি চিকিৎসা করা যায়।

নাইসেড থেকে আরও বলা হয়েছে, এই পরীক্ষায় অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকদের অবশ্যই সুস্থ থাকতে হবে। একবার কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হলে তাঁরা এতে যোগ দিতে পারবেন না। অন্তঃসত্ত্বারাও অংশ নিতে পারবেন না। পরীক্ষায় যোগদানের জন্য ব্যক্তিকে সম্মতিসূচক ফরমে স্বাক্ষর করতে হবে। পরীক্ষায় যোগ দেওয়া স্বেচ্ছাসেবকদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলাফেরা করতে হবে।

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল রিসার্চ ও পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির যৌথ গবেষণায় কোভ্যাক্সিন তৈরি করেছে অন্ধ্র প্রদেশের হায়দরাবাদভিত্তিক সংস্থা ‘ভারত বায়োটেক’। এই টিকার ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া বা ডিসিজিআই।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here