কলকাতা ময়দানের ইন্দ্রপতন – না ফেরার দেশ ফাইনাল গোল করলেন চুনি গোস্বামী !

0
684

নিজস্ব সংবাদদাতা :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ৩০শে এপ্রিল ::কলকাতা :: প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার চুনী গোস্বামী। শারীরিক অসুস্থতার কারণে বেসরকারি এক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় প্রয়াত হন প্রবাদপ্রতীম এই ফুটবলার। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

কিংবদন্তী ফুটবলার ও কোচ প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুর এক মাস পরই মারা গেলেন আরও এক কিংবদন্তী ফুটবলার চুনী গোস্বামী। বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন প্রাক্তন ফুটবলার। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন ৮২ বছরের ভারতীয় ফুটবল নক্ষত্র। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে ভারতীয় ফুটবল মহলে।

বিকেল গড়াতেই বয়ে এল আরেক দুঃসংবাদ। ক্ষেত্র ভিন্ন হলেও জীবনযুদ্ধের লড়াইয়ে ইতি টেনে তারাদের দেশে চলে গেলেন প্রবাদপ্রতিম ফুটবলার চুনী গোস্বামী। গত মাসেই দীর্ঘ রোগভোগের পর হাল ছেড়েছিলেন বন্ধু প্রদীপ বন্দোপাধ্যায়। ৮২ বছর বয়সে ইহলোকের মায়া কাটিয়ে ‘৬২-র এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী ফুটবল দলের অধিনায়ক চললেন একদা জাতীয় দলের সতীর্থ পিকে’র কাছে।

১৯৩৮ সালের ১৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে জন্ম প্রবাদপ্রতিম ফুটবলার সুবিমল (চুনী) গোস্বামীর। ১৯৪৬ মাত্র ৮ বছর বয়সে মোহনবাগান জুনিয়র দলের হয়ে পথ চলা শুরু চুনীর। ১৯৪৬-১৯৫৪ জুনিয়র দলের হয়ে খেলার পর ১৯৫৪ মোহনবাগানের হয়েই সিনিয়র ফুটবলে কেরিয়ার শুরু হয় তাঁর। বর্ণময় ফুটবল কেরিয়ারে ক্লাব ফুটবলের পাশাপাশি স্মরণীয় হয়ে থাকবে কিংবদন্তীর জাতীয় দলের হয়ে অমর ফুটবল কীর্তিগুলোও।

জাতীয় দলে মাত্র ৮ বছরের সংক্ষিপ্ত কেরিয়ারে ৫০ ম্যাচ খেলেছিলেন সুবিমল ওরফে চুনী গোস্বামী। ভারতীয় দলের জার্সিতে ৯টি গোল করা প্রবাদপ্রতিম এই স্ট্রাইকার ক্লাব কেরিয়ারে আজীবন খেলেছেন মোহনবাগানের হয়ে। ১৯৫৪-৬৮ সময়কালে বাগানের হয়ে খেলার সময় একাধিক ক্লাবের লোভনীয় প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও মোহনবাগান থেকে কখনও চুনীকে টলাতে পারেনি কেউ। বিশ্বমানের স্ট্রাইকার চুনীর ফুটবল প্রতিভার ব্যপ্তি ছড়িয়ে পড়েছিল বিদেশেও। একবার মোহনবাগানের ঘরের ছেলের কাছে ইংলিশ ফুটবল ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পারেরও অফার এসেছিল বলেও খবর। তাতেও সাড়া দেননি তিনি।

১৯৫৪ মোহনবাগানের হয়ে ক্লাব ফুটবলে সিনিয়র কেরিয়ার শুরু করেছিলেন চুনী গোস্বামী। এর ঠিক দু’বছর পর ১৯৫৬ চিনের অলিম্পিক দলের বিরুদ্ধে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয়েছিল চুনী গোস্বামীর। জোড়া এশিয়ান গেমস (১৯৫৮, ১৯৬২), রোম অলিম্পিক (১৯৬০), এশিয়া কাপ, মারডেকা কাপের মত আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টেও জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে ফুটবল খেলেছেন স্ট্রাইকার চুনী। ১৯৬২ জাতীয় দলের জার্সিতে তাঁর সবচেয়ে উজ্জ্বলতম বছর। ওই বছরই তাঁর অধিনায়কত্বে জাকার্তা এশিয়াডে সোনা জেতে ভারত। একই বছর চুনীর মুকুটে যোগ হয় এক অনন্য পালক। ১৯৬২ এশিয়ার সেরা স্ট্রাইকারের তকমা ছিনিয়ে নিয়েছিলেন চুনী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here