কিসমত থাকলেই নয় – বুদ্ধি হওয়া চাই, গেরুয়া আছি বলতেই – AIIMS এ পাবে ঠাঁই।

0
468

২৪ ঘণ্টা লাইভ সংবাদদাতা/ রাজিব গুপ্তা/ ব্যারাকপুর / ৩রা মে ২০২৪:  এবারে যা গরম, তার তাপ প্রবাহে মানুষের বুদ্ধি, বিবেক, মানসিকতা সমস্ত কিছু যেনো পুড়ে হয়ে যাচ্ছে ছাই ।

অন্যদিকে  যে পর্যায় পৌঁছেছে বর্তমান রাজনীতি, সেটা মনে হয় নৈতিকতার বিসর্জনের প্রায় শেষ প্রান্ত । তাই এখন কার কি আদর্শ তার কথা না বললেই হয় ।

এবেলা আমি জার সমর্থক, বিকেলে তার থাকবো কি না ! আজ আমার যা মতাদর্শ, কাল সেটাই থাকবে কি না ! এসব এখন ফ্যাশনের যুগের মত, যার কোনো গ্যারান্টি নেই ।

যদি ব্যারাকপুর লোকসভায় নজর ঘোরানো হয়, তাহলে এটা জাতীয় স্তরে মর্যাদা পাবে রাজনৈতিক ভুল ভুলাইয়ার । এখানে “তৃণমূল মানে বিজেপি” এই একটি বাণীর জন্য মুকুল রায় আজ চানক্য উপাধি প্রাপ্ত নেতা।

আমাদের এই প্রতিবেদনে এতকিছু উদাহরণ দেওয়ার রয়ছে একটি বিশেষ কারণ। গতকাল ২রা মে হালিশহরের জেঠিয়ায় হঠাৎ এক দুষ্কৃতীর বাড়িতে গিয়ে পৌঁছলেন বারাকপুরের সাংসদ এবং পুনরায় লোকসভায় (তৃনমূল রিটার্ন) বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং।

এতে স্বাভাবিক ভাবে অবাক স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব এবং জেঠিয়া অঞ্চলের সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ী বর্গ । কারণ যার বাড়িতে ছুটে গেলেন সাংসদ মহাশয় সে হলো এলাকার এক লুচ্চা এবং নানান রকম পাচার ও অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে যুক্ত এক অসাধু তোলাবাজ ।

মনে হচ্ছে, নামের মত চমকে গেলো তার কিসমত কারণ তার একটি কারসাজি তে ওর বাড়িতে হাজির হয় গেলে ব্যারাকপুর লোকসভার মাননীয় সাংসদ এবং বিশ্বের সর্ব বৃহৎ রাজনৈতিক দল (ভারতীয় জনতা পার্টির) দ্বিতীয় বারের প্রার্থী ।

তবে এই আগমনে খিল্লি হলো সাংসদের । তবে পুরস্কারের পত্র হলেন এই কিসমতের “পরামর্শ দাতা” যে এই মুহূর্তে আমি গেরুয়া সদস্য আছি বললেই হয় তো এই সংবাদ চট করে চলে যাবে বিজেপি প্রার্থীর পাতলা কানে । ব্যস তিনি তার ব্যস্ততম সময়ের সত্বেও চলে আসবেন এখানে । এতেই চমকে যাবে কিসমতের কিসমত ।

মানুষের প্রশ্ন হলো যে ৫ বছর সাংসদ থাকার সত্বেও কি এলাকা ঠিক ভাবে চেনেন নি তিনি ? বা তার লোকসভা অঞ্চলের দুষ্কৃতি আর সাধারণ ভদ্র মানুষ দের মধ্যে ফারাক চিহ্নিত করতে পারেন নি ?

বলার অপেক্ষা রাখে না যে সাংসদের এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ সেই এলাকার বিজেপি নেতা কর্মীরা । তাই তো সেখানে সাংসদের সাথে দেখা গেলো না জেঠিয়া অঞ্চলের বিজেপি নেতাদের ।

প্রশ্ন এটাও উঠছে যে কিসমতের বাড়ি যাওয়ারয় কি স্থানীয় নেতৃত্ব দের সাথে কোনো যোগাযোগ করলেন না সাংসদ না কি বিজেপির স্থানীয় বেতারাও এই কিসমতের পর্যার ভদ্র মানুষ ? কারণ এই দুষ্কৃতি কিসমত কে মাইনরিটি সমাজের ভদ্র মানুষ বলে, গোটা মাইনরিটি সমাজ কে কালিমালিপ্ত করলেন না তো তিনি ?

কেউ কেউ বলছেন কিসমত এর মত বদমাশ লোক যদি ভদ্র মানুষ হন, তাহলে এখানকার একসময়কার ডন তুফান কে তো ভারত তত্নের জন্য মনোনয়ন পাওয়া উচিৎ।

চর্চার বিষয় হয় উঠেছে যে যেই AIIMS এ চিকিৎসার জন্য হাজার হাজার মানুষ সেখানে ভোর বেলা থেকে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন লাগিয়ে চিকিৎসা করাতে আসেন । সেখানে এই অসামাজিক দুষ্কৃতি নিজেকে বিজেপি সমর্থক বলা মাত্রই AIIMS এ পেতে চলেছে হাই স্ট্যান্ডার্ড চিকিৎসার বিশেষ সুযোগ ?

তার মানে AIIMS কি বর্তমানে পরিণত হয়েছে বিজেপির পার্টি অফিসে ? কিন্তু বিজেপি নিচু তলার নেতা কর্মীদের মনে উঠছে প্রশ্ন যে অনেক সময় তাদের পরিবারে সদস্য রা অসুস্থ হলে তারা AIIMS এ চিকিৎসার ক্ষেত্রে পায় না কোনো বিশেষ সুযোগ, কিন্তু এই অসামাজিক ব্যাক্তি, যে না কোনোদিন ধরলো দলের পতাকা, না অংশ নিলো কোনো দলীয় কর্মসূচি তে!

কিসমত শুধু সংখ্যালঘু হওয়াতেই কি তাকে বাড়তি সুযোগ দেওয়ার কথা বলেন সাংসদ ? তাহলে কি এবার বিজেপি ও করছে তুষ্টিকরণের রাজনীতি ?

একটি ভিডিও তে দেখা গিয়েছে তার বাড়িতে দেখতে এসেছেন সাংসদ এবং জিন্স প্যান্ট আর সান্ডো গেঞ্জি পড়ে বিছনায় ঘুমিয়ে ভীষণ কষ্ট না কি কথা বলছেন সাংসদের সাথে ।

আবার মিনিট দুইয়ের বাদেই  দিব্যি উঠে মেডিয়া কে বাইট দিচ্ছেন আক্রান্ত ভদ্র লোক কিসমত আলী । তার এই নাটক ধরে ফেলে প্রায় সকলেই ।

তার মানে কি, এখন যে কোনো অসামাজিক মানুষ নিজেকে বিজেপি সমর্থক হওয়ার দাবি করলে বা নাটক করবে আর বিজেপি থেকে নিয়ে নেবে বাড়তি সুযোগ ? এই ভাবে নিঃসন্দেহে নষ্ট হবে তার তথা তার দলের ভাবমূর্তি বলে ।

বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে যে সেদিন কোনো এক বাড়িতে সাব মার্শাল বসানো নিয়ে কিছু ভাগ-বাট্টা নিয়ে নিজেদের সিন্ডিকেটে লাগে গণ্ডগোল। সেই ঝামেলা কে অযথা রাজনৈতিক রং দিয়ে দিলেন এই দুষ্কৃতি কিসমত । তবে সেইদিন ই তার বাকি পার্টনার দের বিরুদ্ধে ঋজু হয়ছে মামলা এবং আটক হয়ছে রাজিব মজুমদার, বাবন এবং রাজ ।

এই হলেন ভদ্র লোক কিসমত আলী 

এই মামলায় আরো একটি জায়গায় ভুল মন্তব্য করলেন সাংসদ মশাই। তিনি ল্যাংড়া বাবন কে  সৈকত ভাওয়াল এর ঘটনায় জড়িত থাকার ভুল মন্তব্য করলেন । তিনি বাবাই আর বাবন কে গুলিয়ে ফেললেন ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here