গাছে মাস্ক ঝুলিয়ে করোনা তাড়ানোর চেষ্টা করছেন ফ্রান্সের হাসননের বাসিন্দারা !!

0
312

২৪ ঘন্টা লাইভ অফবিট ডেস্ক :: ৮ই,ডিসেম্বর :: কোলকাতা :: করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের সংক্রমণ চিকিৎসায় কার্যকর কোনো ওষুধ পাওয়া যায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ও মডার্নার মতো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান টিকা উদ্ভাবনের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তাই বলে করোনা থেকে বাঁচতে টিকা বা ওষুধের দিকে চেয়ে নেই ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলের হাসননের বাসিন্দারা। তাঁরা গাছে মাস্ক ঝুলিয়ে রেখে করোনামুক্তির চেষ্টা করছেন।

নিউজ এজেন্সি রয়টার্সের খবরে বলা য়েছে, রোগবালাই থেকে আরোগ্য লাভে হাসননের বাসিন্দাদের এই প্রথা নতুন নয়। প্রাক্‌-রোমান সময়কাল থেকেই তাঁরা এটা করে আছেন। কিন্তু আগে তাঁরা গাছে জামাকাপড় ঝুলিয়ে রাখতেন। করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মাস্কও। আর এই পরিবর্তনই মানুষের মনে জন্ম দিয়েছে নতুন কৌতূহলের।

ফ্রান্সের উত্তরের শহর লিল। এর দক্ষিণ-পূর্বে হাসননের অবস্থান। ফ্রান্সের প্রাচীন দর্শনীয় স্থান ও ধর্মবিশ্বাস বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে একটি ফেসবুকের পেজ পরিচালনা করেন স্থানীয় বার্ট্রান্ড বোসিও। হাসননের মানুষের আরোগ্য লাভের ওই বিশেষ রীতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০২০ সালে ওই প্রথায় যোগ হয়েছে কোভিড মাস্ক।’

প্রাক্‌-রোমান সময়কাল থেকেই হাসননের বাসিন্দারা গাছে কাপড় ঝুলিয়ে রাখেন। কিন্তু আগে তাঁরা গাছে জামাকাপড় ঝুলিয়ে রাখতেন। করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মাস্কও।

যেসব গাছে জামাকাপড় ঝুলিয়ে রাখা হয়, তাদের ‘হিলিং ট্রি’ বা আরোগ্য বৃক্ষ বলা হয়। মানুষ ওই সব গাছের ডালে ডালে বেঁধে রাখেন নিজেদের পোশাক। বোসিও বলেন, ওই সব বৃক্ষে মোজা থেকে অন্তর্বাস—সবই রেখে যায় মানুষ। এই প্রথা বেশি মানেন তাঁরাই, যাঁদের সন্তান হয় না।

রয়টার্সের খবরে আরও বলা হয়েছে, এ ছাড়া এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ায় করোনা থেকে বাঁচতে বাসিন্দারা বাড়ির প্রবেশমুখে কাকাতুয়া রেখে দেন। রাজধানী নমপেনের কাছে কান্দাল প্রদেশের বেশ কিছু অঞ্চলে এই রীতি পালন করা হয়।

ইক চানের বাড়ির প্রবেশমুখে রয়েছে দুটি কাকাতুয়া। তিনি বলেন, ‘করোনা যাতে বাড়িতে ঢুকতে না পারে, সেই জন্য প্রহরীর মতো কাজ করে এসব কাকাতুয়া। ইক চান বলেন, ‘করোনাসহ সব ধরনের ভাইরাস তাড়াতে সাহায্য করেছে কাকাতুয়া। আমাদের পরিবারের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকিয়েছে এটি।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here