চন্দননগরের বুকে পর্যটনের আন্তর্জাতিক ছোঁয়া – ভাসমান হোটেলে এবার পাওয়াযাবে ফরাসি খাবারও !

0
274

আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ২৪শে নভেম্বর :: চন্দননগর :: সামনে বিধানসভা নির্বাচন। সে দিকে চোখ রেখে আগামী মাসের মধ্যেইচন্দননগরকে ঢেলে সাজাতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পর্য্যটন প্রকল্পের জন্য রূপরেখাও তৈরি করে ফেলতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সেরকমই নির্দেশ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকেও । পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন নিগমের এই ভাসমান কাফেটেরিয়া কাম রেস্তোরাঁর নামও ঠিক করেছেন মমতা – ‘জলশ্রী’।

রাজ্য পর্যটন দপ্তর ইতিমধ্যেই শ্রীরামপুরের গঙ্গার ধারে নিশানঘাটে ২৩৪ বছর আগে গড়ে ওঠা ডেনিস সরাইখানার মালিকের হোটেল ‘দ্য ডেনমার্ক ট্যাভার্ন’-কে ধংসস্তূপ থেকে সংস্কার করে নতুন আঙ্গিকে চালু করেছে। একে আগেই হেরিটেজের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যটন দপ্তর সেখানে খাবার পরিবেশনের দায়িত্ব ‘দ্য পার্ক’-এর হাতে তুলে দিয়েছে। যা ভালো সাড়া ফেলেছে খাদ্যরসিক মহলে। মিলছে ভারতীয় পদের পাশাপাশি টোস্ট, স্ন্যাক্স, স্যুপ, ডেনিশ পেস্ট্রি, চিকেন সসেজ-সহ নানা ধরনের ডেনিশ খাবারও ।

ফরাসি পর্যটকদের কাছে এখনও চন্দননগরের আকর্ষণ যথেষ্ট। শুধু ভাসমান কাফেটেরিয়া নয়। চন্দননগরের ফরাসি স্থাপত্য সংরক্ষণে আরও নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় মানুষকে আকৃষ্ট করতে স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনকে এ কাজে লাগানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে উদ্যোগী স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন।কিন্তু একটা কথা কিন্তু বলতেই হবে যে এই মুহূর্তে বাইরে থেকে আসা দেশি বা বিদেশী পর্যটকদের রাত্রিবাসের কোনো পর্যাপ্ত জায়গা নেই ।

ফলে বাইরে থেকে আসা মানুষদের জন্য শহরের ভেতর সরকারি বা যে সরকারি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই ।আমাদের মনে হয়েছে এই ব্যাপারে বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন একটু নজর দেবেন । শহরের আরও একটা সমস্যার দিকে কেউই নজর দেননা সেটা হলো বিভিন্ন জায়গায় মহিলাদের জন্য টয়লেটের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে ।

নতুন বছরের শুরুতে পর্যটন ব্যবসাকে চাঙা করতে তাই ডিসেম্বর থেকেই সোশ্যাল নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে ব্যাপক প্রচার শুরু করছে রাজ্য সরকার। এ জন্য পর্যটন দপ্তর একটি পেশাদারি সংস্থাকে দায়িত্ব দিতে চলেছে। প্রচারে নামানো হচ্ছে জেলার বাউল-সহ লোকশিল্পীদের।

পৌর নিগমও কিন্তু তাঁদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করছেননা । শহরকে পরিষ্কার রাখার জন্য যেখানে পৌর প্রতিনিধিদের সক্রিয় হবার দরকার আছে সেখানে সম্বুদ্ধ দত্তর মতো হাতে গোনা কয়েকজন পৌর ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত দলীয় প্রতিনিধি ছাড়া কারোরই দেখা পাওয়া যায়না । এই বিষয়ে কিন্তু সরকার এবং প্রশাসনকে নির্বাচনের আগে আরও সক্রিয় হতে হবে ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here