২৪ ঘন্টা লাইভ/ নিজস্ব সংবাদদাতা/ নিউজ ডেস্ক/ ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪; হুগলির চুঁচুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন তৃণমূল কাউন্সিলরদের একাংশ।
পৌরশ্রমিকদের বেতন সময়ে দিতে পারেন না চেয়ারম্যান, শহরের রাস্তাঘাট সারানো হয়না, নাগরিক পরিষেবা দিতে ব্যর্থ, এমন একাধিক অভিযোগ এনে সোমবার চুঁচুড়া মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লার কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন তৃণমূলের কয়েকজন কাউন্সিলর।চেয়ারম্যানকেও দেওয়া হয় চিঠি।
২০২২ সালে পৌরসভা ভোটের পর অমিত রায়কে চেয়ারম্যান করায় চুঁচুড়া পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরদের একাংশ মেনে নিতে পারেনি।
গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে অমিত রায়কে চেয়ারম্যান করে দল। বোর্ড মিটিং-এ অশান্তি সমস্যা লেগেই থাকে। পুরসভার ৩০ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৯ টিতে তৃণমূলের কাউন্সিলর রয়েছে।
অমিত রায়ের সঙ্গে প্রথম প্রথম দু একজন থাকলেও লোকসভা ভোটের সময় অনেক কাউন্সিলর তার দিকে চলে আসে। যারা বিধায়ক অসিত মজুমদারের গোষ্ঠীতে ছিলেন বলে সবাই জানত। অমিতের শক্তি বৃদ্ধি হয়।
বিধায়ক কোনও কর্মসূচী ডাকলে চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকেন।পাল্টা কর্মসূচী করেন। দল বিড়ম্বনায় পরে।
বিধায়কের পৌরসভায় ছড়ি ঘোরানো বন্ধ হয় অমিত রায় চেয়ারম্যান হওয়ায়। যার ফলে তাকে সরানো চেষ্টা শুরু হয়।
চেয়ারম্যান অমিত রায় বলেন, “আমার কাছে চিঠি দিয়েছে আস্থা নেই বলে। আড়াই বছর ধরেই ওরা এরকম করছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে প্রথম গিয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন জেলখানায়।
আমাদের ভোটাভুটি করে চেয়ারম্যান নির্বাচন হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন করে দিয়েছিলেন। তারা যদি বলেন ,আমি সরে যাব। এদের কথায় যাব না।”
অমিত রায়ের কথায়, এরা নিজেরাও জানে, যখন ক্ষমতায় ছিল তখন কীভাবে লোক ঢুকিয়েছে পৌরসভায়। কাজ না করে পয়সা নিয়েছে। আমরা কাউকেই বলিনি যে ছড়িয়ে দেব।
একজনকে সিফ্ট চেঞ্জ করা হয়েছে, সে সকালে দোকানদারি করে আবার পৌরসভায় কাজ করে। আসলে প্রত্যেকেই আলাদা আলাদা করে চেয়ারম্যান করার টোপ দিয়েছে।
আমাদের এখানকার নেতা। তার নিজের বিধানসভায় সাড়ে আট হাজার ভোটে হেরেছে। এসব করে কিছু হবে না, দলকে জানাক।”
হুগলির চুঁচুড়া শহরের তৃণমূল সভাপতি সঞ্জীব মিত্র বলেন, “পৌরসভা পরিচালনা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ হচ্ছে।যার নেতৃত্বে বা অঙ্গুলী হেলনে হয়ে থাকুক এটা নিন্দনীয়।বিষয়টি রাজ্য স্তরে পাঠাবো।”