24GhontaLive সংবাদদাতা/ বারাকপুর/ 24 মার্চ: নির্বাচনে মানুষের কাছে প্রার্থী নিয়ে প্রথম পছন্দ ভূমিপুত্র যাকে বিধায়ক বা পার্ষদ রূপে নিজের সেবক বানাতে চান।
তার কারণ হলো পার্ষদ বা বিধায়ক স্থানীয় হলে মানুষের সুবিধা অসুবিধা তে সহজেই তাদের পাওয়া যায় এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে অনেকটা লাভ হয়ে থাকে।
ঠিক এই ধরণেরই প্রত্যাশা ছিল জগদ্দল বিধানসভার বাসিন্দাদের।
এখানকার মানুষ দীর্ঘদিন বহিরাগত বিধায়ক ,(পরেশ সরকার কে) পেয়ে ঠকেছেন বলে মনে করছেন। তাই এবার তৃণমূল দল কোন বহিরাগত নয়, ভূমিপুত্র কে প্রার্থী করে আরেকবার মানুষের আশীর্বাদ পাওয়ার দিকে এগিয়ে গেছে।
কারন এই বিধানসভায় বিজেপির তরফ থেকে বহিরাগত প্রার্থী দেওয়ায় জেরম ক্ষুব্দ দলের অধিকাংশ কর্মী-সমর্থক পাশাপাশি স্থানীয় মানুষ ও বিষয়টি ঠিক গ্রহণ করতে পারছে না বলেই দেখা যাচ্ছে।
এখানে বিজেপির প্রার্থী রূপে প্রথম দাবিদার ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির দীর্ঘদিনের লড়াকু নেতা অরুণ ব্রহ্ম এবং দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন অর্জুন সিং এর ভাইপো সৌরভ সিং। তবে দলের উচ্চস্তরের নেতৃত্তের নির্ণয় অনুযায়ী এখান থেকে প্রার্থী হয়েছেন সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল, আবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান কারি শান্তিপুরের বিধায়ক “অরিন্দম ভট্টাচার্য” ।
মানুষের প্রশ্ন যে অরিন্দম বাবু যদি ভালো মানুষই হতেল কিংবা জনপ্রিয় নেতা হতেন তা হলে তিনি শুভেন্দু, রাজিব ব্যানার্জি, জিতেন্দ্র তেওয়ারি দের মতন নিজের বিধানসভা থেকে দাঁড়ানোর সাহস করলেন না কেন? জগদ্দল বিধানসভা মনুষ তাকে ভোট দেবে কেন? যদি বলা হয় নরেন্দ্রর মোদী কে দেখে ভোটে দিতে, তো অরুণ কিংবা সৌরভ কে কেন প্রার্থী করা হলো না ? জিতে গেলে তিনি কি জগদ্দলে থাকবেন , না কি প্যারাশুটে উড়ে যাবেন? এই ধরনের নানান প্রশ্ন উঠছে যার জবাব দিতে বিফল বিজেপি ও স্বয়ং প্রার্থী অরিন্দম ভট্টাচার্য।
রাজনৈতীক বিশ্লেষক দের মতে, যেখানে ভূমিপুত্র রা সক্রিয় সেখানে বহিরাগত কে কেউ মানবে কেন ?
তিনি তো কোন পরিচিত মুখ বা খ্যাতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব নন ।
পরবর্তী তে সৌরভ সিংহ কে দেখা যাচ্ছে অরিন্দম ভট্টাচার্য এর সাথে প্রচারে বেরোচ্ছেন । কিন্তু তার অনুগামী রা এখনও মেনে নিতে পারছেন না দলের এই হাস্যকর সিদ্ধান্ত। তবে তারা নিঃশব্দ হলেও ভেতরে ভেতরে লুকিয়ে রেখেছে রাগ। এর আরো একটি কারণ হতে পারে জে পিতৃহীন সৌরভ সিংহ, দলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে দলের কাছে নিজের পিতাতুল্য কাকা ও বিজেপি রাজ্যে সহ সভাপতি সাংসদ অর্জুন সিংহ কে বিপাকে ফেলতে চাইছেন না।
অর্থাৎ সৌরভ এই প্রার্থী কে না পারছেন মেনে নিতে, না পারছেন বিরোধিতা করতে আর দলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কে মাথা নত করে মেনে নিয়ে প্রার্থীর প্রচারে পথে নেবে নিজের রাজনৈতিক দক্ষতা প্রমাণ। করলেন।
তবে সৌরভ মাঠে নবলও নিচু তলার কর্মী দের মধ্যে দেখা দিচ্ছে না উৎসাহ, তাই বারাকপুর মেইন লাইনে দেওয়াল লেখন বা ব্যানার ও পতাকা লাগাতে সবার থেকে পিছিয়ে রয়ছে জগদ্দল বিজেপি।
বিক্ষুব্ধ শিবিরের অভিযোগ জে কোনো গোপন রফা করার ফলে, এখানকার পরিস্থিতি জেনে বুঝে এই সিট তৃনমূল কে উপহার দিতেই বহিরাগত প্রার্থী দিতে রাজি হয়েছেন অর্জুন সিংহ।
একজন বিজেপি সমর্থক পরিচয় গোপন রাখার সর্তে দাবি করলেন জে নির্বাচনের মধ্যে দলীয় কর্মীদের আরো বিক্ষোভের মুখে পড়তে হবে পর এবং নির্বাচন শেষ হলেই এক দিন ও এই এলাকায় আর ঢুকবেন না অরিন্দম বাবু।