২৪ ঘণ্টা লাইভ সংবাদদাতা / রাজিব গুপ্তা / ব্যারাকপুর / ২১ এপ্রিল : বিগত দিনে আমরা একাধিক বার তুলে ধরেছিলাম বিজপুরের এক কলঙ্কিত পরিবারের কলঙ্কিনী কাহিনীর । কিন্তু সবকিছু প্রকাশ্যে আশা সত্ত্বেও, কোনো অজানা কারণে সেই পরিবারের কৌশলের কাছে পুলিশ প্রশাসন বারবার ছিলো নির্বিকার ।
হ্যাঁ, আমরা কথা বলছি সেই রঞ্জিত কুন্ডু ও তার মেয়ে তানিয়া কুন্ডুর। স্বচ্ছ ভাষায় ব্যক্ত করলে বলা যেতে পারে, “বন্টি বাবলি” ।
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1154046145419845&id=401789857312148&sfnsn=mo
জাদের অপকর্ম তুলে ধরতে গিয়ে একাধিকবার মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়ে আমাদের ।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় তাদের অঙ্গুলি হিলনের ইশারায় চলতে দেখা গিয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে। যার সাক্ষী গোটা বিজপুর অঞ্চল।
ঠিক এই কারণেই আমরা একাধিক মামলায় জর্জরিত এবং তার সাথে সাথে তাদের বিরুদ্ধে কেউ সাহসের সাথে মুখ খুললেও পরবর্তী ক্ষেত্রে বাকরুদ্ধ হতে বাধ্য হয়েছিলেন আপামর অঞ্চলের একাধিক সংবাদ মাধ্যম ।
প্রশাসনের এই অদৃশ্য সহযোগিতার জেরে দিনের পর দিন শ্রীবৃদ্ধি হতে থাকে তাদের মনোবল ।
জানা গেছে, রঞ্জিত কুন্ডু কঁচরাপাড়া ভুত বাগান সংলগ্ন এক পরিত্যক্ত রেল কোয়াটার দখল করে দীর্ঘ বছর ধরে সপরিবারে সেখানে বসবাস করতেন । কিন্তু তার সাথে সাথে এও জানা যায়, প্রায় দু বছর আগে সেখানকার মানুষ তাদের তাড়িয়ে দেয় বিশেষ কিছু কারণে ।
তখন তারা এক রাজনৈতিক নেতৃত্বের হাত ধরে আশ্রয় নেয় ২ নম্বর ওয়ার্ড, বাবু ব্লকে অবস্থিত আরো একটি পরিত্যক্ত রেল কোয়াটারে ।
তবে এখানেও আব্যহত থাকে তাদের তাণ্ডব ।
তাদের কৌশলের মুখ্য পদক্ষেপ ছিলো বড়োসড়ো নেতা ও পুলিশের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা । আর তার সাথে সাথে তাদের দখল করা বাসভবনে সেই সকল ব্যক্তিদের আমন্ত্রনের মাধ্যমে খাওয়া দাওয়া করিয়ে, অঞ্চলের অন্যান্য সাধারণ মানুষের চোখের নজরে আশা। আর এটাই অস্ত্র করে পরবর্তী ক্ষেত্রে অঞ্চলের বিভিন্ন ছোট বড় দোকান থেকে ধার বাকি খেয়ে, টাকা না দেওয়া, আর টাকা চাইলেই পুলিশের নাম করে হুমকি দেওয়া । আর একটু বাড়াবাড়ি করলেই পুলিশকে ডেকে সেই সকল সাধারণ মানুষদের অপর হেনস্থা। এই ছিলো তাদের কাজ।
রণজিৎ কুন্ডু বা তার মেয়ের বিষয়ে এই সকল অভিযোগ জানতে হলে সেই এলাকায় গেলেই সঠিক সন্ধান পাওয়া যাবে । কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত পুলিশ প্রশাসনের কাছে সেই সময়টুকুও নেই ।
জানা যায়, রঞ্জিত কুন্ডু একজন বেকার কর্মহীন মানুষ । আগে তিনি ড্রাইভারী করতেন, কিন্তু তার রুক্ষ ব্যবহারে এখন কেউ আর তাকে কাজে রাখে না । বেশ কিছুদিন এই বাপ বেটির আড্ডা ছিলো কল্যানী এক্সপ্রেসওয়ের উপর একটি বারে । যেখানে নাকি দুনিয়ার সমস্ত জঘণ্য কাজ হয়ে থাকে বলে অভিযোগ ।
জানা যায়, গত ১৩ ই ডিসেম্বর ২০২১ মেয়ে তানিয়ার শুভপরিণয় সম্পন্ন হয়, জেঠিয়ার বাসিন্দা ব্যবসায়িক ঘরানার পাত্র পার্থ মণ্ডল এর সাথে ।
বিবাহ বন্ধনে রত হবার পর, এখানেও সেই একই গল্প। কথিত আছে জে, মানুষের নেচার ও সিগনেচার কখনো বদলায় না । জানা যায়, আর্থিক ভাবে সচ্ছল দেখেই বড় মাছের উপর দানা ফেলে তাকে প্রেমের জালে ফাঁসাতে সাফল্য অর্জন করেছিল ডাবল ডিপ্লোমা প্রাপ্ত গোটা বাংলার সব থেকে বড় সার্টিফাযেড সাংবাদিক শ্রীমতী তানিয়া কুন্ডু ।
কিন্তু, বিয়ের পর থেকেই ক্রমশ প্রকাশ পায় তাদের আসল উদ্দেশ্য । জামাই এর পারিবারিক বিষয়ক অযথা নাক গলাতে শুরু করেন রঞ্জিত বাবু। এমন কি রঞ্জিত বাবু জোর জবস্তি তার স্কুটির EMI এবং তার পাশাপাশি তাদের চ্যানেল চালানোর নামে ঘন ঘন টাকা নিয়ে থাকেন, এমনই জোরালো অভিযোগ করেছেন তার জামাই পার্থ । অন্য দিকে বাড়িতে ছোট বেলা থেকে থাকা পার্থর মাত্র ১৬ বছর বয়সীর পিসতুতো বোন এর আপত্তিকর ছবি ক্যামেরাবন্দি করে সেই ছবি গুলি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে রীতিমতো ব্ল্যাকমেল করে তানিয়া ।
পার্থ মন্ডলের পিতা পরিতোষ মণ্ডল একজন সজ্জন ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিত । তিনি এতদিন নিজের পরিবারের সকলকে নিয়ে চলছেন । পার্থ তার এক মাত্র সন্তান থাকলেও ছোট বেলা থেকেই নিজের দুই ভাইপো ও এক ভাগ্নিকে পালন পোষণ করেছেন তিনি এবং তাদের কেও এই পরিবারেরই সদস্য মনে করেন তিনি । কিন্তু তাদের কেই বাড়ি থেকে বিতাড়িত করতেই এই সড়যন্ত্র কসেছিলো তানিয়া ও তার বাবা রঞ্জিত কুন্ডু ।
তবে এই প্রতারনা সহ্য না করতে পেরে নিজের মাকে সম্পূর্ন বিষয়টি জানায় সেই নাবালিকা অর্থাৎ পার্থর বোন । এরপরই শুরু হয় পার্থর পরিবারে অশান্তির বাতাবরণ । কিন্তু সেখানে ক্ষমা চাওয়ার জায়গায় উল্টে স্বামী পার্থ মণ্ডল কেই আইনি হুমকি দেয় তার স্ত্রী তানিয়া । নিজের বাবাকে সাথে নিয়ে তানিয়া ঘন ঘন পুলিশের সাথে যোগাযোগ শুরু করে । এই পরিস্থিতি বুঝে ঠান্ডা মাথায় কাজ করে পার্থ । তিনি সমস্ত কার্যকলাপের ভিডিও বানানো শুরু করে ।
https://m.facebook.com/events/386203583374989?sfnsn=mo
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় যে, সেই নাবালিকা মেয়ে বিজপূর থানায় অভিযোগ করতে গেলে তার অভিযোগ গ্রহণ করেনা বিজপুর থানা। তবে কি এই অভিযোগ গ্রহণ না করার একটাই কারণ? যেহেতু অভিযোগটি পুলিশ প্রশাসনের স্নেহধন্য তানিয়া কুন্ডুর বিরুদ্ধে বলে? আর ঠিক তার বিপরীত দিকে মিথ্যে ফোন করে পুলিশের ভ্যান ডেকে আনে চক্রান্তকারী তানিয়া । জানা গিয়েছে যে, স্বামী পার্থ সহ শ্বশুর বাড়ির মোট ৭ জনের উপর নির্যাতনের মিথ্যা মামলাও করে সে ।
ভাবুন এক দিকে নামি চক্রান্তকারীকে সাহায্য করছে যে পুলিশ কিন্তু আসল নির্যাতিতার মামলাও ঋজু করতে নারাজ সেই বিজপুর থানার পুলিশ । কেনো ?
মনে করা হচ্ছে যে, এবারেও কোনো এক বড় পুলিশ আধিকারিক বা প্রভাবশালীর দৌলতে থানায় নিজের প্রভাব খাটাচ্ছে এই বাপ বেটি ।