রামকৃষ্ণ পাল ::২৪ঘন্টা লাইভ ::৭ই জুলাই ::ঝাড়গ্রাম :: ঝাড়গ্রাম জেলার সিএমওএইচ এর সরকার বিরোধী কার্যকলাপে বর্তমানে বিপদে ঝাড়গ্রাম বাসী। সারা রাজ্যে যখন করোনা র সূচক নিম্নমুখী তখন ঝাড়গ্রামে করোনা সংক্রমনের জেরে সম্পূর্ণ লকডাউন করতে বাধ্য হল জেলা প্রশাসন। শুধু তাই নয়। রাজ্যের ঘোষিত সময় পরিবর্তন করে জেলায় বাজার খোলার সময় ও ২ ঘন্টা কমিয়ে দিতে বাধ্য হন জেলা প্রশাসন।
রাজ্যে করেনা সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্য সরকার যখন একাধিক সিদ্ধান্ত ঘোষনা করে তখন CMOH প্রকাশ মৃধা, স্বাস্থ্য দপ্তরের দুই এক জনের সহায়তায়, সরকারি সিদ্ধান্ত রুপায়ন না করে তার নিজস্ব সাগরেদ দের নিয়ে সরকার বিরোধী কাজ করতে ব্যাস্ত ছিলেন।জঙ্গল মহলের ভূমিপুত্র ডাক্তাররা যারা জীবনের বাজিরেখে ঝাড়গ্রাম কে করোনা শূন্য রেখেছিলো বেছে বেছে তাদের কে সরানো হয়। মহিলা ডাক্তার দের সাথে দূব্যাবহার করে, তারা যাতে কাজ না করেন সে চেষ্টা চালানো হয়।
মোহনপুরের বিএমওএইচ ডাঃ রনজিৎ ভট্টাচার্য যে তার এলাকায় নিয়মিত করোনা যাতে না ছড়ায় তার জন্য সবরকম ব্যাবস্থা করে করোনা কে অ্যারেষ্ট করে রেখেছিলেন তাকে সিএমওএইচ শুধু বদলিই করেনি। চার্জ হ্যান্ডোভার এর সময় না দিয়ে তাকে হেনস্থাও করে। তার গাড়ি ভাঙচুর করে মানিক সিং নামে সিএমওএইচ এর অ্যাপোয়েন্ট করা ডাক্তার। তাকে হ্যান্ডোভারের সময় না দিয়ে ঐদিনই ডিম রিলিজ করা হয়।এই মানিক সিং বিএমওএইচ হওয়া সত্ত্বেও হাসপাতালে সময় না দিয়ে লোধাশুলি তে এবং ঝাড়গ্রামে বেশীর ভাগ সময় চেম্বার চালাতে ব্যাস্ত থাকে।
এই মানিক সিং বিধান সভা ভোটে বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে তৃনমূলের বিরুদ্ধে প্রচার করেন। গোপীবল্লভ পুরের বিধায়ক ডাঃখগেন্দ্র নাথ মাহাত তপসিয়ার ব্লক স্বাস্থ্য অাধিকারিক ছিলেন তার বিরুদ্ধে কাগজ তৈরী করে সিএমওএইচ। তাঁকে এখান থেকে সরিয়ে উত্তর বঙ্গে পাঠানো হয়। যদিও রাজ্য সরকার তাঁকেই ঐ এলাকার বিধায়ক হিসেবে পার্থী করে।
সিএমওএইচ এর অারেক সাগরেদ ডাক্তার অভিরুপ সিং।এর বিরুদ্ধে একাধিক ইনকয়ারি শুরু হয়েছে। বিএমওএইচ এর থেকে বেশী তার মহিলা এবং নেশায় অাসক্তি। নার্সরা একাধিকবার অভিরুপ সিং এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।
পস্কো ধারায় অভিযুক্ত ভাই কে বাঁচানোর জন্য, সিএমওএইচ এর সহায়তায়, পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে ভুয়ো চিকিৎসা দেখিয়ে অাদালত এবং প্রশাসন উভয় কেই বিপথে চালিত করেন। বর্তমানে কোর্ট এবিষয়ে জানতে চাইলে চিকিৎসা পরিষেবা সংক্রান্ত কাজ বাদ দিয়ে হাসপাতালের ডাক্তার ও অন্য অাধিকারিক কে দিয়ে ভুয়ো কাগজ তৈরী করে কিভাবে তাকে বাঁচানো যায় সে চেষ্টাতে ব্যাস্ত পুরো সিএমওএইচ অফিস।
যদিও কোর্টের উত্তর দেওয়া তার পক্ষে অসম্ভব হচ্ছে। কারন যা যা রপোর্টে ক্ষমতা দেখিয়ে সাজিয়েছিলেন ঐ বিএমওএইচ অভিরুপ সিং তার কোনো টাই হয়নি ঐ অভিযুক্ত র।
সম্প্রতি এক নার্সের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে এই অভিরুপ সিং এর নাম সামনে এসেছে। সে ব্যাপারেও তদন্ত চলছে।
এককথায় ঝাড়গ্রামে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ের থেকে বেশী অন্য নানা বিষয়ে বেশী উৎসাহী এই সিএমওএইচ ও তার সাগরেদ রা। তারা সরকারের কি ভাবে বদনাম করা যাবে সেই চেষ্টায় সচেষ্ট ছিলেন। এককথায় ভোটে, বিরোধী দল কে সুবিধা পাইয়ে দিতে যা যা করা প্রয়জন সমস্তটাই করেছেন তার সাগরেদ বিএমওএইচ দের নিয়ে এই ব্যাতিক্রমি সিএমওএইচ।
যার ফল স্বরুপ ফের ঝাড়গ্রামে করোন সংক্রামন উর্দ্ধমুখি।
বাধ্যহয়ে জেলা প্রশাসন কে কঠোর মনোভাব নিতে হচ্ছে যার ফলে দুদিন পুরো শহর বন্ধ রাখার ঘোষনা। যদিও এই উদ্যোগ কে সাদুবাদ জানিয়েছেন ঝাড়গ্রামের অাপামর মানুষ।