ট্রেনের ধাক্কায় মৃত সহকর্মীর দেহ পাশে রেখেই কাজ চালিয়ে যেতে বাধ্য হলেন ঠিকা শ্রমিকরা

0
190

২৪ ঘন্টা লাইভ/ নিজস্ব সংবাদদাতা/ নিউজ ডেস্ক/ ১২ জুলাই ২০২৪, নিয়ম মাফিক লাইনে কাজ করছিলেন একদল ঠিকা শ্রমিক। আচমকাই সেই লাইনে ট্রেন আসার শব্দ শুনে সকলে সরে যেতে পারলেও অভিজিৎ টুডু (২৬) নামে এক ঠিকা শ্রমিক ডাউন মালদহ-হাওড়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের ধাক্কায় মারা যান।

চোখের সামনে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় সহকর্মীর। তারপর লাইনের ওপরেই প্রায় ৫ ঘণ্টা পড়ে থাকে তাঁর দেহ। আর তার পাশেই বুকে পাথর রেখে কাজ চালিয়ে যেতে বাধ্য হলেন ঠিকা শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার কালনার এই ঘটনায় রেলের নিরাপত্তা ও গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

জানা গেছে, এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে হাওড়া-কাটোয়া লাইনের সমুদ্রগড় ও কালীনগর স্টেশনের মাঝখানে। সেই সময় নিয়মমাফিক রেললাইনে কাজ করছিলেন কয়েকজন ঠিকাশ্রমিক। ট্রেন আসার শব্দ শুনে অন্যরা নিরাপদ দূরত্বে সরে গেলেও ঠিকা শ্রমিক অভিজিৎ টুডু সরতে পারেননি।

ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। এরপর, মৃত কালনার নান্দাইয়ের দুর্গাপুর এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ টুডুর নিথর দেহ পড়ে থাকে রেললাইনের পাশে। এক-দু’ঘণ্টা নয়, প্রায় ৫ ঘণ্টা পর বিকেল ৩টে নাগাদ তাঁর দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় কালনা জিআরপি।

এই ঘটনায় রেলের নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে। রেললাইনে কর্মরত ঠিকা শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মৃতের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবি জানান হয়েছে।

শ্রমিক সংগঠন সিটুর রেলের কন্ট্রাক্টর লেবার ইউনিয়নের কাটোয়া শাখার সম্পাদক দানেশ শেখ বলেন, রেলের রক্ষণাবেক্ষণের প্রায় সব কাজ ঠিকা শ্রমিকরাই করেন। বর্ধমানের এক ঠিকাদারের অধীনে ওই শ্রমিক কাজ করছিলেন।

তাঁর মৃত্যুর দায় রেলের ওপরেও বর্তায়। ওই যুবকের স্ত্রী ও তিন মাসের সন্তান রয়েছে। তাঁদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কালনা জিআরপি-র ওসি রফিকুল ইসলামের বক্তব্য, প্রক্রিয়া মেনে ঠিক সময়েই দেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here