মলয় কুন্তল :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ৩১শে মে :: ডোমজুড় :: পরিজায়ী শ্রমিকরা যে আমাদের নিজেদের ই একজন সেটা প্রমান করে দিল জয়চন্ডীতলা বাসী সকলে। ডোমজুড় জয়চন্ডীতলা এলাকায় বাহিরে থেকে আগত পরিজায়ী শ্রমিক ভাইরা যারা শুধু মাত্র জয়চন্ডীতলার ৪ টি বুথের অন্তর্গত তাদের জন্যে জয়চন্ডীতলার হাইস্কুলকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার এর অনুমতি দিলেন জয়চন্ডীতলা স্কুল পরিচালন সমিতি, সাথে সহযোগিতা করেন এলাকার স্বাস্থ্য কর্মীরা ও পঞ্চায়েত সদস্যরা। বিশেষ ভাবে সহায়তা করেন স্কুল পরিচালন সমিতি সম্পাদক মাননীয় বিশ্বনাথ পাড়ুই ও চিত্তপ্রিয় বন্দোপাধ্যায় এবং সুশান্ত পাড়ুই ।
রাতারাতি এই অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্য প্রচুর মানুষ ও পরিচালন সমিতি কে জমায়েত করে তাদের মতামত নিয়ে এই কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছেন এলাকার জনপ্রিয় সমাজসেবী চিত্তপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়। উনি বিডিও, আইসি সকলের সুচিন্তিত মতামত ও এলাকার বিভিন্ন সংগঠন এর মতামত নিয়ে এই গুরু দায়িত্ব মাথায় তুলে নেন ।
চিত্তপ্রিয় বাবু বলেন, আমি আজাদ কলেজের মিটিং এ ও ছিলাম, আজকে থেকে ওখানেও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হচ্ছে, এলাকার পরিযায়ী ছেলেদের ওখানেও রাখা যেতে পারে, ওখানেও সুন্দর ব্যবস্থা আছে । আমি চেয়েছিলাম আগামী দিন জয়চন্ডীতলা স্কুল খোলার পরে যতই স্যনিটাইজ হোক, তার পরও যদি স্কুলের কোন শিশু করোনা আক্রান্ত হয়, তার দায় কে নেবে ? ফ্রান্সে ও ইতালিতে এই রকম ঘটনা প্রায় ই ঘটে চলেছে।
জয়চন্ডীতলার পরিযায়ী ভাইরা আমাদের নিজেদের লোক, এই দুর্দিনে তাদের পাশে আমাদের সকলকেই দাঁড়াতে হবে। আমি রাতারাতি সকল গ্রামবাসী ও প্রশাসন কে এক ছাতার নিচে আনতে পেরেছি ও একটা সমাধান সূত্র বেরিয়েছে, তার জন্য আমি আনন্দিত ও গর্বিত। এই গুরু ভার যে সকলে আমার কাধে তুলে দিয়ে ভরসা
করেছেন ,তার জন্যে এলাকার সকল মানুষ কে আমি ধন্যবাদ জানাই ।আগামী দিন এই ভাবেই মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই। ”
উল্লেখ্য এই মহৎ কাজে চিত্তপ্রিয় বাবু কে পাশ থেকে সহায়তা করছেন এলাকার বিভিন্ন সংগঠন যেমন তরুন সঙ্ঘ, যুব সঙ্ঘ, আর জি পার্টি, নিউ ইয়ং স্টার ক্লাব, সুহৃদ সঙ্ঘ, শান্তি সঙ্ঘ, ২৬ শে পৌষ উৎসব কমিটি, জয়চন্ডী উৎসব কমিটি প্রভৃতি আরো অনেক এলাকার সংগঠন।