রাজীব গুপ্তা :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ২৯ শে জুলাই :: বীজপুর :: চোখের দোহাই দিয়ে দিল্লির মিটিং ছেড়ে এসে আসলে জে পি নাড্ডা দের চোখ খুলে দিলেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা মুকুল রায়। তিনি দিল্লি থেকে বলাযায় চলে আসার দিনই তাঁর দিল্লির বাসভবন ১৮১ নং সাউথ এভিনিউয়ের বাড়ির সামনে থেকে অলক্ষেই উড়েযায় সেখানে লাগানো বিজেপির বিরাট বিরাট হোর্ডিং যেখানে সগর্বে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাটআউট। আমরা খবরটি করার পরেই কিন্তু বিজেপির কোনো কোনো মহল থেকে বলা হয় খবরটি ফেক নিউজ। আমরা কিন্তু মুকুল বাবুর দিল্লি বাসভবনের সামনে দাঁড়িয়ে লাইভ সম্প্রচার করিয়ে বুঝিয়ে দিয়ে ছিলাম যে আমরা ফেক খবরে বিশ্বাস করিনা।
আমরা ঠিক এই মুহূর্তে কিছু সূত্র থেকে খবর পাচ্ছি যে বাংলার বিজেপি পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গির ডাকে মুকুল বাবু আবার দিল্লি যাচ্ছেন এবং সেখানে নাকি খোদ অমিত শাহের সাথেই মুকুলবাবুর এবার কথা হবে। যদিও এটি বিস্বস্ত সূত্রের খবর তবুও কিন্তু খবরটি ঘোড়ার মুখের খবর নয়। তবুও বলছি আমাদের কাছে খবর আছে যে মুকুলবাবু কে এবার বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্য ভূমিকা দেওয়া হচ্ছে। আবার ও শোনা যাচ্ছে যে মুকুল বাবু বিজেপির দিল্লির কেন্দ্রীয় মন্ডলীর সহ সভাপতি হতে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক মহলের ধারণা যেহেতু মুকুলবাবু তৃণমূলের বাংলার গোটা সংগঠনটাকেই হাতের তেলর মতন চেনেন তাই এবার স্বতন্ত্র দায়িত্ব দিয়ে বিজেপি এবার পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন লড়তে চাইছে।
যদি মুকুলবাবু কে এখন এতটাই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিতে চাইছে তাহলে প্রশ্ন উঠছে সেদিন কেন মুকুলবাবু বিজেপির সদর দপ্তরে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন সংক্রান্ত মিটিং ছেড়ে বেরিয়ে এলেন। নিন্দুকেরা বলছেন যে সেদিন বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা তৈরী হচ্ছিলো। মুকুলবাবু তাঁর তালিকার ২৩ টি নাম নিয়ে অনড় হয়ে যান । কে বাধা দিয়েছিলেন সেইসব খুটিঁনাটিতে না গিয়েই বলি এখানেই মুকুলবাবু অসন্তুষ্ট হন এবং মাঝপথেই মিটিং ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।
যাই হোক সেসব এখন অতীত। এখন আগামী দিনে মুকুলবাবু বিজেপির সংগঠনে কোন জায়গায় অবস্থান করবেন সেটাই দেখার। তবে একটা কথা বলাই যায় যে আপাতত কিন্তু মুকুলবাবুকে রাজ্যসভার পদ বা কোনো কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব সম্ভবত দেওয়া হবেনা এই কথাটা কিন্তু খুবই পরিষ্কার এবং মুকুলবাবুও হয়তো সেটা আঁচ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে কিন্তু সময়ই বলবে মুকুল বাবুর অবস্থান কি হবে ?