কুমার পঙ্কজ :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ১৫ই,ডিসেম্বর :: নয়াদিল্লি :: নতুন তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কৃষকরা টানা আন্দোলন করে যাচ্ছেন। পরিবারের সঙ্গে ওই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন ১১ বছরের গুরসিমরাত কৌর । ভারতের উত্তরের রাজ্য পাঞ্জাবের বাসিন্দা গুরসিমরাতের বাবাও একজন কৃষক। অন্যান্য কৃষকদের সঙ্গে পাঞ্জাব থেকে মিছিল করে গুরসিমরাতের পরিবারও রাজধানী দিল্লির সীমান্তে এসেছেন এবং হাজার হাজার কৃষকের সঙ্গে মিলে সেখানে দিনের পর দিন আন্দোলন করে যাচ্ছেন।
আন্দোলনের পাশাপাশি গুরসিমরাত পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। সড়কে বসেই চলছে তার লেখাপড়া। গুরসিমরাত পাঞ্জাবের একটি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী গুরসিমরাত বলে, ‘‘আমরা এখানে আমাদের আধিকার আদায়ের লড়াই করতে এসেছি। মোদী সরকার যে কালো আইন বানিয়েছে, যে আইন পাস করেছে তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরই কেবল আমরা আমাদের বাড়িতে ফিরে যাব।”
আন্দোলনে আসায় লেখা পড়ার ক্ষতি হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে গুরসিমরাত বলেন, ‘‘দেখুন, লেখাপড়াতো করতেই হবে, লেখাপড়া করা জরুরি। কিন্তু এ সময় আন্দোলন করাটাও জরুরি।” গুরসিমরাতের মা সুখবীর কৌর আন্দোলনের মধ্যেও মেয়ের লেখাপড়ার তদারকি করছেন। তিনি জানান, স্বামী এবং মেয়ে ছাড়াও তার স্বামীর আরও দুই ভাই আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন । সড়কেই চলছে তাদের রান্না-খাওয়াসহ দৈনন্দিন সব কাজ।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা জুলুমের বিরুদ্ধে এই আন্দোলনে অংশ নিচ্ছি। যেখানেই অন্যায় হবে আমরা লড়াই করব। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের এই লড়াই চলতেই থাকবে।”গুরসিমরাতের আশা ঈশ্বরের আশীর্বাদে শিগগিরই কৃষকরা তাদের অধিকার ফিরে পাবেন। সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কৃষক নেতাদের কয়েক দফা বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু অচলাবস্থার অবসান হয়নি। আন্দোলনরত কৃষকরা রাজধানী দিল্লিতে প্রবেশ করতে চাইছেন। তারা দিল্লিমুখী বিভিন্ন রাস্তা অবরোধ করে রেখেছেন। উত্তরের রাজ্যগুলোর কৃষকদের অন্তত ৩০টি সংগঠন এবারের আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে।