রাজীব গুপ্তা :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ১৭ই,মে :: নৈহাটী :: নৈহাটির তিনবারের বিধায়ক পার্থ ভৌমিক এর পরিকল্পনা এবং অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে ওঠে নৈহাটির বঙ্কিমাঞ্জলি স্টেডিয়ামে স্থানীয় মানুষদের জন্য সেফ হোম ।
করোনা আবহে নৈহাটির সাধারণ মানুষকে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে এবং সকলের সুরক্ষার কামনার্থে নৈহাটির বিধায়ক পার্থও ভৌমিক এর নির্দেশ এবং উদ্যোগে নৈহাটি পৌরসভার প্রধান প্রশাসক অশোক চ্যাটার্জীর সহযোগিতায় এবং নৈহাটি পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক সনৎ দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০২০ সালে মাত্র ২০ টি শয্যা নিয়ে সূচনা হয়েছিল এই সেফ হোম এর । ধীরে ধীরে সংক্রমণের হার বাড়তে থাকলে সেই শয্যা ২০ হইতে 50 ও সর্বশেষে ১০২ শয্যায় পরিণত হয়েছিল নৈহাটির এই সেফ হোম ।
শুধু তাই নয় বিধায়ক পার্থ বাবুর প্রত্যক্ষ পরিচালনায় নৈহাটির সদর হাসপাতাল হাসপাতালে পরিণত হয়েছিল কোভিদ সংক্রমণ রোগীদের একটু আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি দেখলেই সেফ হোম থেকে চিকিৎসকরা ওই রোগীদের সঙ্গে সঙ্গে পাঠিয়ে দিত নৈহাটি কোভিড হাসপাতালে ।
এরপর করোনায় আক্রান্তের হার একটু স্থিতিশীল হলে সেফ হোম বন্ধ রাখা হয় এবং তার সাথে সাথে নৈহাটি সদর হাসপাতাল কোভিড হাসপাতাল হতে সাধারণ হাসপাতালে পরিণত করা হয় শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা ভেবে ।
কিন্তু নির্বাচনের প্রাক্কালে শুরু হয় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এবং এটি মারাত্মক আকার ধারণ করে ক্রমাগত বাড়ছে সংক্রমণের হার। তার সাথে সাথে মৃত্যুর মিছিল আর সেই কথা মাথায় রেখে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে পুনরায় খোলা হয় নৈহাটি পৌরসভা পরিচালিত 102 কোভিড শয্যায় পরিণত এই সেফ হোমের দরজা ।এই ভয়াবহ কোভিড পরিস্থিতিতে নৈহাটি ও নৈহাটি সংলগ্ন সকল সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে নৈহাটি পৌরসভা পরিচালিত এই সেফ হোমে বর্তমানে 270 টি কোভিড শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ব্যারাকপুর সাব ডিভিশন এর মধ্যে সর্ববৃহৎ সেফ হোম এই নৈহাটির সেফ হোম শুধু নৈহাটি নয় জেলার বাইরে থেকেও অসংখ্য কভিডে আক্রান্ত রোগীরা নৈহাটির এই সেফ হোমে ভর্তি হচ্ছেন প্রতিনিয়ত প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন নৈহাটির এই সেফ হোম থেকে এই ভয়াবহ করণা আবহকে মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশ অনুযায়ী আগামী দিনে সেফ হোম এর শয্যা সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানাচ্ছেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক ।