নিজস্ব সংবাদদাতা ::২৪ ঘন্টা লাইভ :: ৩রা জুলাই :: কোলকাতা :: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের আগে ফুরফুরা দরবারে হাজির হয়েছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীনের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।
রবিবার সকালে ফুরফুরা শরিফে পৌঁছে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।ফুরফুরা দরবারে পৌঁছানোর পর আসাদউদ্দিনকে স্বাগত জানান আব্বাস সিদ্দিকি। এরপর একান্ত বৈঠকে বসেন দুজন।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের রণকৌশল নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।সম্প্রতি বিহারে বিধানসভার ভোটের ফলাফলে উদীয়মান মুসলিম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন এককভাবে পাঁচটি আসনে জয় লাভ করে।
তারপরই মিম প্রধান জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দেবে মিম। তবে এর মধ্যেই রাজ্যে মিমের সংগঠনের একটা বড় অংশ তৃণমূলে যোগদান করেছে। তৃণমূলের দাবি, রাজ্যে মুসলিম ভোট কাটতে মিমকে আমদানি করছে বিজেপি।
বিজেপির পালটা দাবি, নিজেদের ক্ষমতাতেই জিতবেন তাঁরা। সিপিএমের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে বিভাজনের রাজনীতির নোংরা খেলা শুরু করেছে তৃণমূল ও বিজেপি। তারই ফল মিমের আমদানি।
বিহারের নির্বাচনে অভাবিত সাফল্য পাওয়ার পর আসাদউদ্দিন ওয়াইসির বিরুদ্ধে আবার বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হচ্ছে।কংগ্রেসের নেতারা সরাসরি বলছেন, ওয়াইসির দল মুসলিম ভোট কেটেছে বলেই বিজেপি জোট বিহারে আবার ক্ষমতায় আসতে পারল।বস্তুত প্রায় ৯৩ বছরের পুরনো রাজনৈতিক দল মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের প্রভাব মাত্র বছরকয়েক আগেও হায়দ্রাবাদ শহরের গণ্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।
তিন তালাক রদ করার বিরোধিতা থেকে শুরু করে বাবরি মসজিদ ভাঙার ইস্যু বা নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ওয়াইসি যেভাবে সরব হয়েছেন, তাতে ভারতীয় মুসলিম সমাজের একটা বড় অংশ তাকে সমর্থনের কথা ভাবছেন বলে কিছু মুসলিম নেতার ধারণা ।