কুমার পঙ্কজ :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ৩০শে সেপ্টেম্বর :: নয়াদিল্লি :: ২৮ বছর পর ঐতিহাসিক রায়দান বাবরি মসজিদের। প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস করা হল সব অভিযুক্তদের। রায়দানে বিচারক জানিয়েছেন যে প্রমাণ দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে েয প্রমাণ দেওয়া হয়েছে তােত কোনও সত্যতা পাওয়া যায়নি। কাজেই পুরো প্রমাণে দোষ প্রমাণিত হয় না। তাই বেকসুর খালাস করা হয়েছে অভিযুক্তদের।
অভিযোগ, করসেবকদের নানাভাবে উসকানি দিয়ে ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর শতাব্দীপ্রাচীন বাবরি মসজিদ ধ্বংস করতে প্ররোচনা দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা আদবানী, যোশি, উমা ভারতী-সহ অন্যরা।মূলত তাঁদের প্ররোচনাতেই সেদিন মসজিদে তাণ্ডব চালায় করসেবকরা, এমনই অভিযোগ ওঠে। যদিও পরবর্তী সময়ে একাধিকবার বাবরি মসজিদ ধ্বংসে তাঁদের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলী মনোহর যোশীরা।
এই মামলায় মোট ৩৫১ জনকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে পেশ করে সিবিআই। পাশাপাশি তথ্য-প্রমাণ হিসেবে পেশ করা হয় ৬০০টি নথি। চার্জ গঠন করা হয়েছিল মোট ৪৮ জনের বিরুদ্ধে। তবে বিচারের দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্যেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি অশোক সিংঘল, প্রাক্তন শিবসেনা প্রধান বালাসাহেব থ্যাকারে, মহন্ত অবৈদ্যনাথ, বিষ্ণুহরি ডালমিয়া, গিরিরিাজ কিশোর সহ বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
২৮ বছর আগে যেদিন বাবরি ধ্বংস হয়, সেদিন ঘটনাস্থলের অদূরে মঞ্চে ছিলেন আডবানি, যোশী, উমা ভারতীরা। অভিযোগ, তাঁরা মঞ্চে দাঁড়িয়ে মসজিদ ভাঙার প্ররোচনা দিয়েছিলেন। তাতেই করসেবকরা উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রাচীন ওই মসজিদ ভাঙেন। তার জেরে গোটা দেশে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ শুরু হয়। মারা যান প্রায় তিন হাজার মানুষ ।