বাঁকুড়ায় করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ক্ষতির মুখে পোল্ট্রি শিল্প

0
928

নরেশ ভকত :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ৩ মার্চ :: বাঁকুড়া ::করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে গুজব যার অধিকাংশই ভিত্তিহীন গুজব । যা দেখে অযথা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ । এরইমধ্যে রাজ্যে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০০ কোটি টাকা । কয়েক বছর আগে ভাগার কান্ড সামনে আসতে মুরগি বিক্রিতে ভাটা পড়েছিল , আর এবার কোরনা ভাইরাসের আতঙ্কে মুরগি বিক্রিতে ভাটা পরেছে , ক্ষতির মুখে পোল্ট্রি শিল্প । রাজ্যের সর্বত্র কমেছে পোল্ট্রি মুরগির চাহিদা কমেছে ।

পশ্চিমবঙ্গ পোল্ট্রি ফেডারেশন এর পক্ষ থেকে জানানো হয় মুরগির সঙ্গে করোনার যে সম্পর্ক নেই তা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রক বিবৃতিতে জানিয়েছে । কিন্তু তারপরেও সাধারণ মানুষ আশ্বস্ত হতে পারছেন না । আতঙ্ক গ্রাস করেছে সকল মানষের মধ্যে ।
এ বিষয়ে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লক লিভস্টক ডেভলপমেন্ট অফিসার ডক্টর রাকেশ মন্ডল বলেন , এটা একটা গুজব আমরাও দেখছি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে খবরটা , সে কারণে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হচ্ছে । সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে একটাই কথা আপনারা গুজবে আতঙ্কিত হবেন না ।

কারণ ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এবং ওয়ার্ল্ড অরগানাইজেশন অফ এনিমেল হেলথ পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করে দিয়েছে নোবেল করোনাভাইরাস এটা মানুষ থেকে মানুষের শরীরে যায় , বাতাসের মাধ্যমে বাহিত হয় এবং এটা খুবই মারাত্মক রোগ । তবে কোনরকম ভাবে এটা মুরগি থেকে মানুষের শরীরে আসে না , বা মুরগির মাধ্যমে বাহিত হয় না । এবং মুরগির মাংসের মাধ্যমে বা ডিমের মাধ্যমে কোন রকম ভাবেই এই ভাইরাস বাহিত হয় না । সুতরাং আপনারা এই গুজবে কান দেবেন না ।
বাঁকুড়া বিষ্ণুপুরের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন , আমার মনে হয় না মাংসের মাধ্যমে কোন ভাইরাস আমাদের কোন ক্ষতি করবে তাই আমি মাংস কিনতে এনেছি ।
শ্যামল ভট্টাচার্য নামে বিষ্ণুপুরের এক শিক্ষক বলেন , এটা একটা মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে কিছু গুজব পেলে মিথ্যা ছড়ানো হচ্ছে এটা মোটেও ঠিক নয় । যদি আমরা ভাবি ছাগল , ছাগলেও তো হতে পারে । পোল্ট্রি ফার্মে সমস্ত মুরগি ট্রিটমেন্ট করা থাকে কোন অসুবিধায় আমার মনে হয় এর থেকে হবে না ।

এক পোল্ট্রি ব্যবসায়ী বলেন , আগের থেকে একটু কম ব্যবসা চলছে । এই মুহূর্তে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কিলো দরে মাংস বিক্রি করতে হচ্ছে ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here