নরেশ ভকত::২৪ঘন্টা লাইভ ::১১ই জুন :: বাঁকুড়া :: গতকালের পর আজো বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বজ্রপাতে মৃতদের পরিবারের হাতে সরকারি ও তৃনমূলের দলীয় ক্ষতিপূরণ পৌঁছে দিলেন রাজ্যের জলসম্পদ অনুসন্ধান দফতরের মন্ত্রী মানস ভুইয়া ও সাংসদ কাকলী ঘোষদস্তিদার। আজ দুপুরে প্রথমে বাঁকুড়ার ইন্দপুরের হরিরামপুর গ্রামে বজ্রপাতে মৃত দুই পরিবারে যান মন্ত্রী ও সাংসদ। পরে তাঁরা যান বড়জোড়ার পখন্না এলাকায় বজ্রপাতে মৃত এক ব্যাক্তির বাড়িতে। সেখানে মৃতদের পরিবারের হাতে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি সবরকম ভাবে ওই পরিবারগুলির পাশে থাকার আস্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী মানস ভুইয়া।
গত সোমবার ও মঙ্গলবার মিলিয়ে বজ্রপাতে বাঁকুড়ায় মৃত্যু হয় মোট পাঁচ জনের। এর মধ্যে দুজনের বাড়ি বাঁকুড়ার রানীবাঁধে, দুজনের ইন্দপুর থানার হরিরামপুরে ও একজনের বড়জোড়া থানার পখন্না গ্রামে। গতকাল পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর সফর সেরে রাতে বাঁকুড়ার রানীবাঁধে পৌঁছান মন্ত্রী মানস ভুইয়া ও সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার। গতকাল রাতে বাঁকুড়ার রানীবাঁধে বজ্রপাতে মৃত দুজনের পরিবারে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন তাঁরা। এরপর আজ সকাল থেকে ইন্দপুর থানার হরিরামপুর গ্রামের মৃত দয়াময় ডাঙ্গর ও মনোরঞ্জন মাল এবং বড়জোড়ার পখন্নায় মৃত মাগারাম গরাই এর বাড়িতে গিয়ে পরিবার পিছু রাজ্য সরকারের তরফে ২ লক্ষ টাকার চেক ও তৃনমূলের তরফে ২ লক্ষ টাকা তুলে দেন মন্ত্রী ও সাংসদ। এদিন হরিরামপুর গ্রামে বজ্রপাতে আহত এক ব্যাক্তির বাড়িতে গিয়ে সেই পরিবারটির পাশে থাকারও আস্বাস দিয়েছেন মানস ভুইয়া ও কাকলী ঘোষ দস্তিদার।
স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও প্রশাসনকে পরিবারগুলির পাশে সর্বতোভাবে থাকার নির্দেশও দেন তাঁরা। পরে মন্ত্রী মানস ভুইয়া বলেন, রাজ্যের জনদরদী সরকার ও মূখ্যমন্ত্রী সবরকম ভাবে মানুষের পাশে রয়েছেন। বজ্রপাতের মতো প্রকৃতির এই বিপর্যয়কে ঠেকানোর সাধ্য মানুষের না থাকলেও মানুষকে সতর্ক করার ব্যাপারে প্রশাসন সবরকম ভাবে সচেষ্ট রয়েছে। সামনের ভরা কোটালে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে নদী বাঁধ গুলি মেরামতের কাজও।