২৪ ঘণ্টা লাইভ সংবাদাতা / রাজিব গুপ্তা/ ব্যারাকপুর / ২৭ মে ২০২৩ : রাজনীতি পড়া শুনার বিষয় থাকলেও তা আজ হারিয়ে যেতে চলেছে নিজের সম্মান । যা শিক্ষার ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ন বিষয় ধার্য্য হলেও বাস্তব জীবনে আজ এক মজার বিষয় হয় দাড়িয়েছে ।
কোথায় কোন শব্দ বা কটাক্ষ করা উচিত বা অনুচিত আজ কিছু নেতারা এসব বিশ্লেষণ করেন না হয় তো । কেউ আলু থেকে তো কেউ গরুর দুধে সোনা বার করেন আবার কেউ দুনিয়ার সমস্ত ভাষার জ্ঞান রাখার করে থাকেন দাবি । এই ধরনের অনেক দৃশ্য রয়েছে কিন্তু গতকাল কাঁচরাপাড়ায় দেখা গেলো অবাক করার এক কান্ড।
গতকাল জন্মদিন ছিল এক দিকে প্রতিবাদী কবি কাজী নজরুল তো অন্যদিকে Son of Mukul এর। বর্তমানে তিনিও প্রতিবাদী রূপে প্রচার পাচ্ছেন তাই কাজী নজরুল এর জন্মদিনে তার আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করলেন বীজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়।
অবশ্যই এটি খুব ভালো পদক্ষেপ ছিল কিন্তু তৎক্ষণাক সেখানে তার এক স্থানীয় গণমাধ্যম কে দেওয়া বিবৃতি জল ঢেলে দিলো সমস্ত সুষ্ঠ বাতাবরণে ।
উঠতে শুরু করলো বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন। প্রথমে তার মন্তব্যে সুর বদল দেখা গেলো। এতদিন নিজেকে বাঘ বলতেন তবে কাল নিজেকে কুমির বললেন। পৌরসভা ও উন্নয়ন নিয়ে তার মন্তব্যে ছিল ভোল বদল, পৌর পরিষেবা ও পৌরপ্রধানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
কিন্তু এর পরবর্তী তার অন্য দুটি উক্তি নজর কাড়ে শ্রোতাদের। তিনি বললেন “আমি নিজের সত্তা হারাতে ভালো বাসি না” আর অন্য টি হলো যে তিনি এখন কুমিরের মত চুপ করে আছেন, আর সময় আসলেই না কি খেয়ে নেবেন।
কাকে খাবেন তা বললেন না তবে এটি তার রাজনৈতিক মন্তব্য হতে পারে কিন্তু অন্ততঃ যে সময় তার জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রচুর মানুষ তাকে তার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। যখন তাকে উচিত আপনজনদের সাথে ভালো সময় কাটানো। তখন দাঁড়িয়ে হানাহানি বা মেরে – কেটে দেওয়ার বার্তা দিচ্ছেন ?
কেউ কেউ বললেন ২০১৯ সালে মার – কাটের ফলে নিজের অবস্থা দেখেও শিক্ষা নিলেন না তিনি। হানাহানির কথা কি এক বার্থডে বয় এর মুখে মানায় ? তার সত্তা প্রেমীর মানসিকতা থেকে তে অবশ্যই অবগত গোটা রাজ্যের মানুষ,
কারণ ২০১১ সালে বীজপুর থেকে উপযুক্ত প্রার্থী মৃনাল সিংহরায় এর জায়গায় কোন কায়দায় টিকিট নিজে পেয়েছিলেন, নতুন করে আর ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই । তার পর ২০১৯ সালে ব্যারাকপুর লোকসভা তে পরাজয় হলে তৎক্ষণাৎ তিনি বিজয়ী দল বিজেপি তে যোগদান করেছিলেন,
সেদিনও বলেছিলেন বীজপুরে তৃণমূলের একটাও ক্লাব থাকবে না, না থাকবে তৃণমূলের পতাকা ধরার কোনো লোক। যার উপযুক্ত জবাব দিয়েছিলেন সুবোধ অধিকারী যিনি আজ বিজ্পুরের জনপ্রিয় বিধায়ক।
আবার ২০২১ সালে বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী সুবোধ অধিকারীর কাছে হেরে গিয়ে তৎক্ষণাৎ গেরুয়া শিবির ত্যাগ করে পুনরায় যোগদান করলেন তৃণমূলে। এতে স্পষ্ট, তিনি যে কোনো পরিস্থিতি তে শুধু মাত্র সত্তা পক্ষের সাথে মানে ক্ষমতায় থাকতে চান। তার জন্য মনে হলো দল আপন নয়, আপন শুধু ক্ষমতা ।
একসময় মানুষ নেতাদের মুখে ত্যাগ বা বিপ্লবের কথা শুনতেন, কিন্তু আজ এই ধরনের নেতাদের মুখে সোনা যাচ্ছে ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছে প্রকাশ আর কুমিরের মতন মানুষ কে খেয়ে নেয়ার হুমকিযুক্ত বার্তা। এই ধরনের বার্তা কে কতটুক সার্থক বলে মনে করছেন মানুষ, এটা এখন বড় প্রশ্ন ? তবে অনেকে বললেন এটি একটি অপরিপক্ব বিবৃতি ।