বিষ্ণুপুর থানার দেজহাট গ্রামে মৃতার বাবা মা এর সঙ্গে দেখা করে গেলেন বিজেপির অগ্নিমিত্রা পাল।

0
241

নরেশ ভকত :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ২৩ শেনভেম্বর :: বাঁকুড়াঃ:: গত বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার রামসাগর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে আগুনে পুড়ে মৃত মৌ দে রায়ের বাপের বড়ি বিষ্ণুপুর থানার দেজহাট গ্রামে । মৃতার বাবা মা ও বোনেদের সঙ্গে দেখা করে গেলেন বিজেপির মিহিলা মোর্চার রাজ্য সভাপতি অগ্নিমিত্রা পাল।

রবিবার সন্ধ্যা ৬.৩০ নাগাদ উলিয়াড়া অঞ্চলে দেজহাট গ্রামে গিয়ে মৌয়ের বাবা শ্যামসুন্দর দে এবং মা নীলিমা দের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে তাঁদের সান্ত্বনা দেন বিজেপি নেত্রী। অগ্নিমিত্রা পালকে সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নীলিমাদেবী সহ মৃতার দিদিরা। অশ্রু সংবরণ করতে পারেন নি প্রতিবেশীরাও। যা দেখে কার্যত তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে চাঁছাছোলা ভাষায় রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রমণ করেন বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী।

তিনি রবিবার সন্ধ্যায় দেজহাট গ্রামে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি পক্ষপাতিত্বর অভিযোগ তুলে বলেন ‘যেভাবে মৌকে তাঁর স্বামী এবং শাশুড়ি নৃশংসভাবে পুড়িয়ে মেরেছে তার সঠিক বিচার আমরা চাই। আপনারা আজ চোখের সামনে একটা মৌয়ের মৃত্যু দেখলেন কিন্তু এই রাজ্যে প্রতিদিন হাজার হাজার মৌদের এভাবে মরতে হয়। তাঁদের ধর্ষণ করে কুপিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে মহিলা হয়েও এর একটারও প্রতিবাদ করেন না।

পুলিশদের বলেন না ঠিকমতো দোষীদের চিহ্নিত করে চার্জশিট দাও। এমন ঘটনায় তৃণমূলের কারও নাম থাকলে সেটা কায়দা করে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার জায়গায় বিজেপি কার্য কর্তাদের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। আমরা ওন্দা থানায় গিয়ে এর সঠিক বিচার দাবি করব। মৌয়ের একটি ৭ বছরের মেয়ে রয়েছে। আমরা চাইছি ওই শিশুটিকে মানুষ করার জন্য ওর দাদু দিদার কাছে দেওয়া হোক’।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১০ বছর আগে রামসাগর গ্রামের বাসিন্দা গোবর্ধন রায়ের সঙ্গে দেজহাট গ্রামের মেয়ে মৌ দে’র বিয়ে হয় শ্যামসুন্দরবাবুর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই জামাই এবং তাঁর মা মৌয়ের উপর নানাভাবে নির্যাতন চালাত। তাঁকে বাপেরবাড়িতেও আসতে দিত না। শ্যামসুন্দরবাবু বলেন ‘সম্প্রতি জামাই আমার মেয়েকে বলেছিল আমার কাছ থেকে ৭৫ হাজার টাকা এনে দিতে। কিন্তু মৌ সেটা পারবে না বলায় ওর উপর অত্যাচার চালিয়ে মুখে কাপড় গুঁজে পুড়িয়ে মেরেছে’।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here