ভারতে করোনার চেয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস

0
170
Advertisement

নিউজ ডেস্ক :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ২৪শে মে :: কোলকাতা :: ভারতে মিউকরমাইকোসিস বা ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৮০০ জন এই ফাঙ্গাসে সংক্রমিত হয়েছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাকে সংক্রমিত প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ মারা যাচ্ছে। আর যারা বেঁচে যাচ্ছে, তাদের মধ্যে একটি অংশের চোখ অপসারণ করতে হচ্ছে।

ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এর চিকিৎসায় স্টেরয়েড ব্যবহার করা হতো। চিকিৎসকেরা বলেন, এই স্টেরয়েড চিকিৎসার সঙ্গে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণের যোগসূত্র রয়েছে। যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বিশেষ করে তারা এই ফাঙ্গাসের ঝুঁকিতে থাকে বেশি।

Advertisement

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে । ভারতে মোট সংক্রমিত রোগীর অর্ধেক রয়েছে এই দুই রাজ্যে। এ ছাড়া আরও ১৫ রাজ্যে এই ফাঙ্গাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এই রাজ্যগুলোয় ৮ থেকে ৯০০ জন পর্যন্ত রোগী রয়েছে। চিকিৎসকেরা বলেন, এই ফাঙ্গাসে সংক্রমিত রোগীর চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ড খোলা হয়েছে।

Adv
Adv : Keshari Light House

এই ফাঙ্গাসে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা যে ব্যাপক হারে বাড়ছে, তার একটি চিত্র ধরা পড়েছে মধ্য প্রদেশের ইন্দোরের মহারাজা যশবন্ত্র হাসপাতালে। এই হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা ১ হাজার ১০০। হাসপাতালে এক সপ্তাহ আগেও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত রোগী ছিল আটজন। গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮৫। হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের প্রধান ভি পি পান্ডে বলেন, ভর্তি হওয়া ৮০ শতাংশের বেশি রোগীর দ্রুত অস্ত্রোপচার প্রয়োজন ।

Advertisement

শুধু ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত রোগীর চিকিৎসার জন্য ১১টি ওয়ার্ডের ২০০টি শয্যা বরাদ্দ করা হয়েছে। সম্প্রতি এই ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি অপ্রত্যাশিত। তিনি বলেন, আগে বছরে সাধারণত একজন বা দুজন আক্রান্ত হতে দেখা যেত এই রোগে।পান্ডে বলেন, শুধু ইন্দোরে এই ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমপক্ষে ৪০০। করোনাভাইরাসের চেয়ে এখন বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। যদি এই ফাঙ্গাসের চিকিৎসা সঠিক সময়ে ও সঠিকভাবে না করা হয়, তবে মৃত্যুর হার ৯৪ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। এর চিকিৎসা ব্যয়বহুল এবং ওষুধেরও সংকট রয়েছে।

Advertisement

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের প্রতি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ শনাক্তে প্রাথমিক লক্ষণগুলোর প্রতি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। এসব লক্ষণের মধ্যে রয়েছে সাইনাসের ব্যথা, এক নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, মাথার এক পাশে ব্যথা, ফুলে যাওয়া, দাঁতে ব্যথা ইত্যাদি।

Advertisement

এই রোগে নাকের ওপর কালচে দাগ, ঝাপসা দেখা, একটি জিনিসকে দুটো দেখা, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ও কফের সঙ্গে রক্ত আসতে পারে। এই ফাঙ্গাস সংক্রমণের সঙ্গে ডায়াবেটিসের সম্পর্ক রয়েছে। কোভিড-১৯-এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত ডেক্সামেথাসনের মতো স্টেরয়েড ডায়াবেটিসও বাড়িয়ে দেয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here