মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে ব্রিজের বেহাল দশা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।

0
254

মাধব মন্ডল :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ১৮ই,আগস্ট :: মালদা :: ব্রীজে ওঠার মুখে রাস্তা বেহাল। বৃষ্টির জলে মাটি ক্ষয় হয়ে বসে গিয়েছে ব্রীজে ওঠার মুখে রাস্তা। নিত্যদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। তবু হেলদোল নেই প্রশাসনের। বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ জানিয়ে কোন ফল পাইনি। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর 1 ব্লক এলাকার রামরায় ঘাট ব্রিজ। উল্লেখ্য 2017 সালের ভয়াবহ বন্যায় এই ব্রীজ দারুণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। মাঝে প্রশাসন থেকে মেরামতি করা হয়।

কিন্তু বর্তমানে আবার বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে ওই ব্রীজে ওঠার দুই দিকের রাস্তা তার সঙ্গে ব্রিজের কিছু অংশ। আজ সকালে এই ব্রীজে ওঠার মুখে একটি পাট বোঝাই ভুটভুটি উল্টে যায়। ভুটভুটি উল্টে যাওয়ায় ওই ব্রিজের উপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তৈরি হয় যানজট। এমনকি অ্যাম্বুলেন্স কেও অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, এই ব্রিজের উপর দিয়ে অনেক গ্রামবাসীকে যাতাযাত করতে হয় হাসপাতাল,স্কুল, যে কোনো সময় ভেঙে যেতে পারে এই রামরায় ব্রিজ, আর এই ব্রীজ ভেঙ্গে গেলে বিপাকে পড়তে হবে হাজার হাজার পরিবারকে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা, এদিকে ব্রিজের বেহাল দশা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।

বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক কিষান কেডিয়া জানান শাসকদলের গ্রাম পঞ্চায়েত,শাসকদলের পঞ্চায়েত সমিতি, শাসকদলের জেলা পরিষদ সবকিছু শাসকদলের তাও কাজ হচ্ছে না,তৃণমূল সরকার সব জায়গায় কাটমানি খেয়ে কাজ করছে। তাই কোথাও ব্রিজ কোথাও রাস্তা ধসে যাচ্ছে। এই ব্রিজে যদি বড় সড় দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে শাসক দল দায়ী থাকবে বলে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা|

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা বুলবুল খান বলেন লকডাউন এর কারণে বিভিন্ন জায়গায় কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কাজকর্মের জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাওয়া যাচ্ছে না। বিজেপি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কুৎসা রটিয়ে বেড়াচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আমরা কাজে হাত দেবো।

হরিশচন্দ্র পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রিষবা খাতুন এর স্বামী আফজাল হোসেন জানান বিষয়টি পঞ্চায়েত সমিতি থেকে জেলা পরিষদ জানানো হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি ব্রীজের সংস্কার করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here