কুমার মাধব :::২৪ঘন্টা লাইভ ::৯ই,এপ্রিল ::মালদা ::চুটিয়ে মিটং-মিছিল চলছে। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা দূরের কথা, অধিকাংশের মুখেই নেই মাস্ক। করোনা নিয়ে কারও সচেতনতা আছে বলে বোঝা দায়। নির্বিকার প্রশাসনও। আরই ফাঁক গলে সর্বত্রই ফের গত বছরের স্মৃতি ফেরালো করোনা। বাদ নেই মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরও।
হরিশ্চন্দ্রপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের এক অফিসার করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেল ব্যাঙ্ক। শুক্রবার ওই অফিসারের করোনা পজিটিভ হওয়ার পর বাকি কর্মিদেরও করোনা টেস্ট করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এদিন হরিশ্চন্দ্রপুরে মোট সাতজনের করোনা পজিটিভ মিলেছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে রামপুরের এক বাসিন্দাকে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ফের করোনার দাপট বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতরও। এজন্য মানুষের অসচেতনতাকেই দায়ি করেছেন তারা।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর চূড়ান্ত সময়েও করোনার সংক্রমণ দৈনিক এক লক্ষ ছাড়ায়নি। কিন্তু এরমধ্যে বৃহস্পতিবার দেশে দৈনিক সংক্রমণের মাত্রা এক লক্ষ ৩১ হাজার ছাড়িয়েছে। তারপরেও কোথাও মানুষের কোনও হেলদোল নেই। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব বিধি, মুখে মাস্কও ব্যবহার করছেন না। যদিও এজন্য সাধারণ মানুষকে দোষ দিয়ে লাভ নেই বলে দাবি করেছেন নেটিজেনদের অনেকেই।
কেন না নির্বাচনের আবহে উঁচুস্তরের নেতা-মন্ত্রীরাও জনসভা করছেন। সেখানে কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। ফলে যাদের সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কথা তারাই বিধি ভাঙছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। আর এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে শীঘ্রই পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যাবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। আর যার ফল ভোগ করতে হবে সাধারণ মানুষজনকেই।