২৪ ঘণ্টা লাইভ সংবাদাতা/ রাজিব গুপ্তা/ ব্যারাকপুর / ১৪ এপ্রিল ২০২৩ : রাজনীতিতে কোন পদ কখনো থাকে না চিরস্থায়ী । তবে আসল রাজনীতিবিদের আসল পরিচিতি চরিতার্থ হওয়া সম্ভব যখন কেউকে হতে হয় পদচ্যুত ।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দুটি ঘটনার ঘটনা যদি তুলনা করা হয় তাতে বেরিয়ে আসবে কে কোন মাপের রাজনীতিবিদ ।
গত মাসে ব্যারাকপুর ব্লক ওয়ান তৃণমূল সভাপতি রানা দাস গুপ্ত কে সরিয়ে সেই পদে বসানো হয় কাঁপা চাকরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রবীন্দ্র নাথ নিয়োগী কে ।
দলের এই সিদ্ধান্ত কে কোন ভাবেই মানতে রাজি নন রানা বলেই দেখা যাচ্ছে । একের পর এক করছেন বিস্ফোরক মন্তব্য । কখনো সরাসরি আক্রমণ করছেন রবি নিয়োগীকে তো কখনো আবার উচ্চ নেতৃত্বদের বিরুদ্ধেও হচ্ছেন বিস্ফোরক ।
অন্যদিকে ঠিক তার বিপরীত দৃশ্য দেখা গেল হালিশহর পৌর প্রধান রাজু সাহানির ঘটনায় । যেখানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজের দায়িত্ব পূরণ করলেও সামান্য একটি অভিযোগের ভিত্তিতে দলের তরফ থেকে পদত্যাগ করার নির্দেশ আসতেই সসম্মানে সরে গেলেন রাজু সাহানি ।
তার এই আচরণে হতবাক হলেন অনেকেই, তার বিষয় ভুয়সী প্রশংসা করতে দেখা গেলো স্থানীয় থেকে জেলা নেতৃত্ব সকল কে । রাজস্থানি বললেন দল আমাকে পদে বসার নির্দেশ দিয়েছিল আমি তা করেছি, দলই আবার পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়ায় আমি দলের সৈনিক হিসেবে তা রক্ষা করেছি ।
শুধু তাই নয় আগামী দিনও দলের যেকোনো সিদ্ধান্তে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন বলেই মন্তব্য করলেন নায়ক নামে পরিচিত বিদাই পৌর প্রধান রাজু সাহানি। এটাই বোঝা গেল যে কত বড় মাপের নেতা হলেন রাজু।
এবার যদি তুলনা করা হয় রাজু ও রানার মধ্যে সেখানে দেখা যাবে রানী দাস গুপ্ত থেকে অনেকটাই এগিয়ে থাকলে নব প্রজন্মের এই তৃণমূল নেতা।
বর্তমানে যা পরিস্থিতি আজও রাস্তায় মাথা উঁচু করে বুক ছিটিয়ে হাটতে পারছেন রাজু শাহানি কিন্তু হাস্যকর হলেও যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মনে হচ্ছে বন দস্যু বিরাপ্পন বা কিসেঞ্জীর মতন জঙ্গল থেকে রাজনীতি করার পথ বেছে নিয়েছেন বিপ্লবী রানা দাস গুপ্ত ।
আসছেন না তিনি মিডিয়ার সামনে, তাকে বারংবার যোগাযোগ করলেও মিলছে না কোন উত্তর, তবে সম্প্রতি তাকে দেখা গেল কোন এক বনে বা জঙ্গলে দাঁড়িয়ে আঙ্গুলে গোনা গোটা কয়েক জন সমর্থক দের নিয়ে একটি চ্যানেলের মাধ্যমে হুশিয়ারি জারি করলেন রবীন্দ্র নাথ নিয়োগী এবং নাম না করে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এর বিরুদ্ধে ।
দলের অনেকেই বলছেন যে রানা কি নিজেকে ব্লক সভাপতির পদে পার্মানেন্ট করে ফেলেছেন ? এইসব করে কি দলের সর্বনাশ করার চেষ্টা করছেন না তো ? না কি পদ থেকে সরে গেলে অন্য কোনো চাপ এ পড়ার ভয় রয়ছে তার মনে ?
কেউ কেউ আবার আসন্ন পঞ্চায়েতে নির্বাচনে টিকিট সংক্রান্ত কোনো রহস্য লুকিয়ে থাকার করছেন ভবিষ্যতবাণী । প্রশ্ন উটছে যে পদে থাকলেই কি খুশি বা রাজনীতি হবে ? পদ চলে গেলে দল বিরোধী কাজ বা মন্তব্য করা কতটুক যুক্তি সম্মত?