রাতারাতি মালদা জেলা ক্রীড়া সংস্থার স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন হয়ে গেল ।

0
328

কুমার মাধব :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ১০ই,ডিসেম্বর :: মালদা :: রাতারাতি মালদা জেলা ক্রীড়া সংস্থার স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন। নাম পরিবর্তন করে হলো শুভেন্দু চৌধুরী স্টেডিয়াম। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর দাদার নামে স্টেডিয়ামের নামকরণ ঘিরে বিতর্ক। নিজের দাদার নামে স্টেডিয়ামের নামকরণ করায় তীব্র সমালোচনার জেলা বিজেপির। সর্বসম্মত ভাবে এই নামকরণ করা হয়েছে বলে দাবি প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুর। ডিএসএ আর নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রাক্তন সম্পাদকের। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর ঘটনায় ক্ষুব্ধ মালদার জেলাশাসক।

১৯৬২ সালে তৎকালীন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায় মালদা জেলা ক্রীড়া সংস্থার স্টেডিয়ামের শিলান্যাস করেন।1975 সালে এই স্টেডিয়ামের বেশ কয়েকটি ব্লক তৈরি হয় । DSA স্টেডিয়াম নামে এই স্টেডিয়াম পরিচিত। যার সভাপতি মালদার জেলাশাসক। ও সম্পাদক প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। সম্প্রতি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সংস্কারের কাজ হয়। আর সেই কাজ সম্পন্ন হতেই নাম পাল্টে যায় স্টেডিয়ামের।

শুভেন্দু চৌধুরী স্টেডিয়াম নামকরণ করা হয় এই স্টেডিয়ামের।শুভেন্দু চৌধুরী রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর দাদা। কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী মন্ত্রী হওয়ার পর ডি এস এর সম্পাদক হন তিনি। দীর্ঘ আট বছর ওই পদে ছিলেন তিনি।তার মৃত্যুর পর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী দায়িত্ব ভার নিতেই নাম পাল্টে যায় স্টেডিয়ামের। আর যা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রাক্তন সম্পাদক শুভাশিস সরকার বলেন, ডিএস এ রাজনীতির আখড়া হয়ে গেছে। বেআইনি ভাবে প্রাক্তন মন্ত্রী এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপিও। জেলা বিজেপির সহ সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, শুভেন্দু চৌধুরীকে আমরা জেলা পরিষদের ঠিকাদার হিসেবে চিনি।

ভাই মন্ত্রী থাকাকালীন তিনি ডি এস এর সম্পাদক হয়ে ছিলেন। এখন তার নামেই স্টেডিয়াম হচ্ছে।মালদায় অনেক বড় বড় খেলোয়াড় আছেন বিজ্ঞানী আছেন কৃতিসন্তান আছেন তাদের নামে না করে দাদার নামে করলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। এই ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

যদিও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর বক্তব্য সর্বসম্মতক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়ে এই নামকরণ করা হয়েছে। দীর্ঘ আট বছর তার দাদা DSA এর সম্পাদক ছিলেন। তাই এই সিদ্ধান্ত। মালদা জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্র এই বিষয়ে কিছু না বললেও জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর নাম পরিবর্তনের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। এমনকি শুভেন্দু চৌধুরীর নাম সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here