২৪ ঘন্টা লাইভ সংবাদদাতা / কোলকাতা/ ১৫ অক্টোবর: আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী শ্বাস্থ ও শিক্ষা কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা এবং তার অধিকার নিয়ে কিছু তথ্য আজ আমরা তুলে ধরছি এবং শিক্ষার সেরকম কিছু প্রতিষ্ঠান দের ও হুশিয়ার করতে চিইছি যারা শিক্ষা কে সরাসরি কর্পোরেট ব্যাবসায় পরিবর্তিত করে ফেলেছেন। যা সম্পুর্ণ ভাবে বেআইনি।
তাই আমাদের এই প্রশ্ন: “শিক্ষা ব্যাবসা না পরিষেবা?”
কয়েক মাস আগে শিক্ষা নিয়ে পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কে ও দেখা গিয়েছিলো সরব হতে। তিনি একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংগে বৈঠকে ও বসেছিলেন। তবে কাজের কাজ কিছুই হই নি।
বর্তমানে প্রথমত স্কুল গুলোর: আকাশ ছোঁয়া মাইনে, এডমিশন চার্জ-ডোনেশন-ডেভলপ্মেন্ট ফী এর নামে মোটা অংকের টাকা তোলা থেকে শুরু করে আবার প্রতি বছর রি-এডমিশনের নামে টাকা তোলা তার পর স্কুুুুুলের তরফে নামি-দামী প্রকাশক দের সাথে যেগসয্যা করে দামী দামী বই বেছে নেওয়া।
এমন কি যে হেতু এই রাজ্যে ফিস রেগুলার বসানো হই নি তাই বেলাগাম ও অন্যায় ভাবে প্রতী বছর স্কুল গুলো তে ফিস তো বাড়ানো হয়ে ই তার পর এতো আর্থিক চাপের মধ্যে দিয়ে যদি কোন বাচ্চার স্কুল ফিস বকায়া থাকলে অনেক বাচ্চা দের কক্ষায় এবং পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয় না আর অনেক স্কুলে বসতে দিলেও পরীক্ষার পর তার খাতা দেখতে দেওয়া হয় না। আমাদের প্রশ্ন এটা কি করতে পারে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ?
বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের আইন অনুযায়ী পড়ুয়াদের ব্যাগের ভার ১.৫ কিলো থেকে সর্বাধিক ৫ কিলোর মধ্যে হতে হবে তা ও কে মানে।
এতেই কিংতু দুর্নিতী থেমে থাকেনা। অনৈতিক ভাবে স্কুলের নাম ছাপানো খাতা কে ই তারা স্কুলে স্বীকৃতি দেয়, যা কোনো এক নির্দিষ্ট সংস্থা ই সরবরাহ করে থাকে। আবার অনেক স্কুল তো স্কুলের নাম ছাপানো ব্যাগ যোর করে দিয়ে কামাই করছে তো কেউ ড্রেস-জুতো-মোজা ও বিক্রি করতে লজ্জা করেনা। আজকের সময় বেশীর ভাগ স্কুল গুলো পড়াশুনার বদলে এইসবেই বেশী মাথা ঘামাচ্ছেন। এসব দেখে বোঝা মুুশকিল হয়ে যায় যে এইগুলো স্কুল না কোনো এক সাহুকারের দোকান।
এসব দুর্নীতি যে অভিভাবক রা বোঝেন না তা নয়, কিংতু কথা হোলো যে কে বোলবে। কার এতো সময়? নতোবা বোললে হয় তো তার সন্তান কে স্কুল থেকে বের করে দিতে পারে হয়তো বোলে দিতে পারে “অন্য বা রকারী স্কুলে চলে যেতে”।
কারণ অনেকেই যানেন না যে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো তে রয়েছে সরকারী মদত। কোনো স্কুলে সরকারী জমি তো কাউকে মাঠ এবং সর্বোপরি কোনো স্কুল থেকে ট্যাক্স বা জিএসটী আদায় করা হয় না। কাজেই তারা শিক্ষা পরিষেবা দেবেন এই প্রতিশ্রতী দিয়ে থাকলেও কোনোদিন তা বাস্তবাইত করেনী কেউ। তাই ২০০৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার একটি আইন (RTE 2009) আনে।
এই “RIGHT TO EDUCATION act 2009″ এর ধারা ১২/১(C) অনুযায়ী প্রত্যেক প্রাইভেট স্কুল গুলো কে নিজের সিটের ২৫% শিক্ষার্থীদের একদম বিনা মূল্যে সসম্মান শিক্ষা প্রদান করতে হবে। তাদের থেকে কোনোরকম এডমিশন, ট্যুশন বা রিএডমিশন চার্জ নিতে পারবে না সেই স্কুল কতৃপক্ষ।
এই বিষয়ে কানপুর উচ্চ আদালতের এক বরিষ্ট অ্যডভোকেট ‘করিম আহমেদ সিদ্দিক’ বলেন EWS আওতায় আসা শিক্ষার্থীদের জন্য এবং তার সাথে গরীব, এস.সি./এস.টী, দিব্যাংগ ও অনাথ দের কেও এই স্কিমে প্রাইভেট স্কুল গুলো কে পড়াতে হয়।
তবে এই ব্যাপারে সর্বত্র খুব একটী সচেতনতার অভাব থাকলেও রাজধানী দিল্লী তে মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়াল এবং শিক্ষা মন্ত্রী মনীশ সিসোদীয়া এই বিষয় সর্বাধিক মুখর আছেন।
আর এইবার তারা বাংলা তে ও এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই তে ময়দানে নেবে পড়েছে। তারা অভিযোগ পেলেই স্কুলে স্কুলে ছুটে যাচ্ছেন। আম আদমি পার্টীর সদস্য বিকাশ ব্যাস আমদের জানান “বাংলায় শিক্ষা নিয়ে চলছে প্রচুর দুর্নীতি। প্রশাসন কে বিষয় টা গম্ভীর ভাবে দেখা উচিত। কারন: ‘পডেগা ইন্ডিয়া, তভী তো বডেগা ইন্ডিয়া’ বললেই হবে না। এ নিয়ে সচেষ্ট থাকতে হবে, আমরা পার্টির তরফ থেকে প্রতি মুহূর্তে মানুষের সাথে আছি। এটাই আমাদের দলের আদর্শ।”
তবে আমাদের প্রশ্ন কবে জাগবেন অভিভাবক রা ? তাদের বেশির ভাগ লোকের কাছে কি অনেক বেশী পরিমাণে টাকা আছে যে তারা চুপ করে বসে আছেন। কোনো প্রতিবাদ করছেন না।
পারলে কমেন্ট বক্সে বা 7003932144 এ Whatsaap করে জানাবেন।