শুধু কমলাই নন জো বাইডেনের পূর্ব পুরুষ ক্রিস্টোফার বাইডেনের নিবাস ছিল মুম্বই ?

0
268

আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ৯ই,নভেম্বর :: কোলকাতা :: সেই চিঠির কথা এখনও তাঁর স্মৃতিতে অটুট। হবু ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ভার১৯৭২ সাল। মাত্র ২৯ বছর বয়সে আমেরিকার সর্বকনিষ্ঠ সেনেটর হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন জো বাইডেন। আজকে আমেরিকার হবু রাষ্ট্রপতি। সেনেটর নির্বাচিত হওয়ার পর শুভেচ্ছা জানিয়ে যে প্রথম ক’টি চিঠি তাঁর কাছে পৌঁছেছিল, তার একটি পাঠিয়েছিলেন অন্য এক বাইডেন। তবে আমেরিকা থেকে নয়। মুম্বই থেকে !তীয় বংশোদ্ভূত। তাঁর পরিবারের শিকড় চেন্নাইতে। ঠিক একই ভাবে বাইডেনেরও কি পূর্বপুরুষদের শিকড় রয়ে গিয়েছে এ দেশে? হবু প্রেসিডেন্ট নিজে তাই মনে করেন। বারাক ওবামার সহকারি হিসাবে ২০১৩ সালে ভারতে এসে মুম্বইয়ে বণিক সভার অনুষ্ঠানে সেই ভারত যোগের কথাই বলেছিলেন তিনি। মুম্বই থেকে পাওয়া চিঠির প্রসঙ্গ তুলে বলেছিলেন, ‘‘আমার ঊর্ধ্বতন পঞ্চম পুরুষ মুম্বইতে (তখনকার বোম্বে) এসেছিলেন। শুনেছি তিনি এ দেশেই পাকাপাকি থেকে গিয়েছিলেন কোনও ভারতীয় মহিলাকে বিয়ে করে।”

সম্প্রতি প্রাক্তন কূটনীতিবিদ এবং বর্তমানে লন্ডনের কিংস কলেজের অতিথি অধ্যাপক টিম উইলসি ‘গেটওয়ে হাউজ’ নামে একটি পত্রিকায় লিখেছেন, ‘জর্জ নয়। তাঁর দাদা ক্রিস্টোফার বরং ভারতে থেকে গিয়েছিলেন এমন তথ্য পাওয়া যায়।’ তিনি লিখেছেন, ‘ক্রিস্টোফার দীর্ঘদিন নাবিক হিসাবে কাজ করার পর ১৮৩৯ সালে লন্ডন থেকে ভারতের উদ্দেশে রওনা হন। জীবনের শেষ ১৯ বছর তিনি ম্যাড্রাস (চেন্নাই)-এ কাটান।’

গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ক্রিস্টোফারই হতে পারেন জো বাইডেনের পূর্বপুরুষ। যদি আদৌ আমেরিকার প্রেসিডেন্টের পূর্বপুরুষদের কোনও ভারত যোগ থেকে থাকে। জো নিজেও এক সময়ে যথেষ্ট উৎসাহী ছিলেন মুম্বইয়ের পত্রপ্রেরক বাইডেনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। ৫ বছর আগে তিনি জানিয়েছিলেন মুম্বইয়ের বাইডেন পরিবারের যোগাযোগের নম্বরও তিনি পেয়েছেন।

ভারতের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ দের ধারণা এবার ভারতের বর্তমান বৈদেশিক সংকট কাটাতে বাইডেন- কমলা জুটি হয়তো সত্যিই সহায়ক হতে পারেন ।পাঠকদের একটি সাম্প্রতিক কালের একটি ঘটনার উল্লেখ না করে পারছিনা । স্পম্প্রতি আমেরিকার নির্বাচন নিয়ে মুখ খুলেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট । তিনি বলেছেন আমি চাই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দেখতে চাই । সিং জিয়াও পিং এর এই কথা ভারতীয় উপমহাদেশে তুমুল আলোচনার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে । ট্রাম্প নিজে বৈদেশিক নীতি হিসাবে বুঝতেন ব্যক্তিগত সম্পর্ক তিনি বলেছিলেন আগ্রাসী চীন যদি ভারতের দিকে এগোয় তাহলে আমেরিকা ভারতের পাশে আছে ।

ঠিক তেমনই ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীজিও বিশ্বাস করেন ব্যক্তিগত সম্পর্কে । যদি পিং মোদী এবং ট্রাম্প তিনজনেই নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক দিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের বৈদেশিক নীতি রূপায়ণ রূপায়ণ করতে ব্যস্ত । তাহলে মোদীজির ঘন ঘন আমেরিকা ভ্রমণ এবং ভারতীয়দের ঘাঁটিতে যেয়ে ট্রাম্পের স্বপক্ষে ভাষণ দেওয়া দেখে মনে হয় তাহলে কি সিন ইন্ডিয়ান কনফ্লিক্ট । ইউএস চীন কনফ্লিক্ট সবটাই নিজেদের দেশের নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই কি তিন দেশের অলিখিত চুক্তির ফল !!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here