রাজীব গুপ্তা :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ১,ডিসেমবর :: ব্যারাকপুর :: অনেকদিন ধরেই বাগী ছিলেন তৃনমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত । তিনি প্রথম থেকেই মুকুল রায়ের অনুগামী বলে চিন্হিত । মুকুল রায়ের বিদ্রোহের প্রথম দিকেই আমরা দেখেছি সেই ছবি যেখানে দেখা যাচ্ছে শীলভদ্র তাঁর হ্যান্ড ব্যাগেজ নিয়ে মুকুলবাবুর দিল্লির আবাসে ঢুকছেন । আবার শুভেন্দু অধিকারী বাগী হতেই শীলভদ্র দত্ত বললেন বিতর্কিত কথা । জল্পনা তিনিও নাকি শুভেন্দু বাবুর মতই তাঁর দেহরক্ষী দেরও ছেড়ে দিচ্ছেন ।ব্যারাকপুরের বিধায়কের ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য, ‘ভবিষ্যতে ঠিক করব, কোন দলে থাকব।’ শুভেন্দু অধিকারীকে প্রকাশ্যে সমর্থন করাতেও তাঁর কোনও কুণ্ঠা নেই।
শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করার পরপরই শুক্রবার শীলভদ্র দত্তকে বলতে শোনা যায়, ‘উনি যা করেছেন, ঠিক করেছেন।’ নিজেকে শুভেন্দু অধিকারী -র এক অনুরাগী হিসেবে উল্লেখ করে ব্যারাকপুরের বিধায়ক বলেন, ‘উনি যা করেছেন, ঠিক করেছেন। আমি ওঁর ফ্যান।’
শীলভদ্র দত্তের তৃণমূল নিয়ে অসন্তোষ আজ নতুন নয়। ব্যারাকপুরের দু’বারের বিধায়ক সম্প্রতি দল নিয়ে নিজের অসন্তোষ একাধিকবার প্রকাশ করেছেন। কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে, তো কখনও আবার জনসভায়। পরবর্তী বিধানসভায় তিনি আর লড়বেন না, তৃণমূলের প্রতি বিষোদ্গার করে এমন বলতেও তাঁকে শোনা গিয়েছে। তাঁর এই ঘোষণা রাজনৈতিক দিক থেকে যথেষ্টই তাত্পর্যপূর্ণ।
শীলভদ্র বাবুর বিদ্রোহের মূল কারণ সম্ভবত তৃনমূল দলে অরাজনৈতিক ব্যেক্তিত্ব পিকের খবরদারি । এই নিয়ে তিনি ঠারেঠুরে অনেকবার ই বুঝিয়েছেন যে টিম পিকের এই অনাবশ্যক খবরদারি তাঁর না পসন্দ ।
কিছু কিছু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের মতে বাংলার রাজনৈতিক প্রাজ্ঞতাকে পিকে পাত্তা না দিয়েই হয়ত ভেবেছিলেন যে তাঁর কথাতেই বাংলা চলবে কিন্তু এই সত্যটা সম্ভবত বুঝতে পারেননি যে ” বাংলার মাটি – দুর্জয় ঘাঁটি “