রাজীব গুপ্ত :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ২৯ শে মে :: বিজপুর :: আবার ফেসবুকে বেসুরো শুভ্রাংশু।
আবার নিজের পুরনো স্বভাবে ফিরলেন বীজপুর প্রাক্তন বিধায়ক । বিগত দিনে তার রাগ অভিমানের কথা সোশ্যাল মিডিয়াতে একাধিকবার দেওয়ার নজির রয়েছে ।
2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজপুর পিছিয়ে থাকায় হঠাৎ বিস্ফোরক দলত্যাগী হয়েছিলেন সেই সময়কার বীজপুর তৃনমূল বিধায়ক ও যোগদান করেছিলেন বিজেপিতে ।
শুধু তাই নয় সেই সঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন যে তিনি অন্য দলে চলে গেলে বীজপুরে তৃণমূলের একটি কার্যালয়ে কিংবা পতাকা ধরার লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না।
তারপরেই শয়ে শয়ে তৃণমূল নেতা-কর্মী ও পার্ষদ দের বিজেপিতে যোগদান করাতে নিয়ে যান দিল্লিতে । কিন্তু পরবর্তীতে সময় বদলাতে থাকে এবং একে একে সেইসব যোগদানকারীরা বেশিরভাগই ফিরে আসেন তৃণমূলে ।
আর 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বলে দিল যে “দিল্লি অভি দুর হ্য”
পরাজিত হয়েছেন দু’বারের বিধায়ক ও মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় । বদলেছে সময়, “তৃণমূলের কর্মী খুঁজে পাওয়া যাবে না” যিনি বলেছিলেন আজ এই দুর্দিনে তার দলের কর্মীরাই তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন ।
বীজপুরে আজ না দেখা যাচ্ছে বিজেপির ঝান্ডা ধরার লোক না একটি ক্লাবে বিজেপির পতাকা ।
যারা বলেছিলেন নির্বাচনের পর তৃণমূল শুধু একটি সাইনবোর্ড হয়ে থাকবে, আজ কোন একটি ক্লাবে অদৃশ্য বিজেপির সাইনবোর্ড ।
তবে একটি সাইনবোর্ড আলোড়ন যুগিয়েছিল বিজপুর বাসী ও দলীয় কর্মীদের কাছে । সেটি হল শুভ্রাংশু রায় এর বাগমোর অবস্থিত ক্লিনিকের সামনে লাগানো মমতা ব্যানার্জিকে শুভেচ্ছা বার্তা ।
যখন নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর দলীয় কর্মীদের, যারা দিনরাত এক করে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে তার নির্বাচনে পরিশ্রম করেছেন , তাদের পাশে থাকার সময় । তখন তিনি ব্যানার লাগালেন মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছার ।
তারপর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে যখন ওঠে তার রাজনীতিক অনুপস্থিতির, দলীয় কর্মীদের বিপাকে ছেড়ে নিখোঁজ হওয়ার প্রশ্ন । তখনো তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে রাখলেন নিজের সাফাই ।
অবশ্যই তার পিতা ও মাতা বর্তমানে রয়েছেন করোন আক্রান্ত ।
কিন্তু গতকাল শনিবার তার সোশ্যাল মিডিয়ায় আরেকটি পোস্ট তাকে বেসুরো হওয়ার দিকে আরও একধাপ এগিয়ে দিলো বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।
তোলপাড় গোটা বিজপুর এর রাজনীতি। ফেসবুকে শুরু হল তার সমর্থক ও আলোচকদের বাকযুদ্ধ ।
কেউ কেউ তাকে সমর্থন জানাচ্ছে, অনেকেই তাঁকে তৃণমূলে ফিরে আসার আহবান করছেন, কিন্তু তৃণমূলের সর্মথকরা অনেকেই আবার তাকে তৃণমূলে ঢোকার ব্যর্থ চেষ্টা বলে কটূক্তিও করছেন ।
এবার দেখার বিষয়, যে শুভ্রাংশু রায় বাস্তবে কি করতে চলেছেন । তিনি দলতে আগেই হয়ে তৃণমূলের ঢুকবেন নাকি বাস্তবে আত্ম সমালোচনা করবেন ।
আর এটা বলাও ভুল হবে না যে বর্তমানে বিজেপির একাধিক নেতা বিধায়ক ও সাংসদ রা এই নির্বাচনে বাংলায় সরকার না গড়তে পারায় হতাশ হয়ে তৃণমূলের ঢোকার দিকে পা এগিয়ে রয়েছেন । কারণ মাছ যেভাবে জল ছাড়া থাকতে পারেন না, ঠিক সেরকম কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আছে যাদের সরকার পক্ষে ছাড়া বিপক্ষে থাকা অসম্ভব ।
বিশ্বস্ত সূত্রে খবর খুব শীঘ্রই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে এক বড়োসড়ো ধ্বস নামতে চলেছে । তৃণমূলের সাথে তাদের কথাবাত্রা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে । তাই এবার দেখার বিষয় যে, তারা কারা ?
আর 2019 এর পর থেকে যে নেতারা তৃণমূল ত্যাগ করার পর দলনেত্রী কে মানসিক রোগী, অহংকারী এমনকি হিটলারের সঙ্গেও তাকে তুলনা করতে পিছলেনে না যারা ।
তারা আবার দলে ফিরে আসতে কি অজুহাত দেবেন ।