আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: ২৪ঘন্টা লাইভ :: ১৯শে অক্টবর :: কোলকাতা :: সোমবার হাইকোর্ট রাজ্যের সমস্ত পুজো প্যান্ডেলকে ‘নো এন্ট্রি’ জোন হিসাবে ঘোষণা করার নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের নির্দেশ কী ভাবে এবং কতটা মানা হল, তা হলফনামা হিসাবে লক্ষ্মীপুজোর পর আদালতকে জানাতে হবে রাজ্যকে। রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে ওই আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে ওই হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এ দিন সরকার পক্ষের হয়ে সওয়াল করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত এবং মামলাকারীর আইনজীবী ছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর আদালত নির্দেশ দেয়, ছোট-বড় সমস্ত মণ্ডপের চারপাশে ৫ থেকে ১০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত ব্যারিকেড করে দিতে হবে। ‘নো এন্ট্রি’ ঘোষণা করতে হবে সেই ব্যারিকেড করা অংশকে। সেখানে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
পুজোর প্রয়োজনে যাদের ঢুকতে হবে, মণ্ডপের বাইরে তাঁদের নামের তালিকা টাঙিয়ে রাখতে হবে। মণ্ডপের ভিতর ১৫ থেকে ২৫ জনের বেশি ঢুকতে দেওয়া হবে না। ঢুকতে দেওয়া যাবে না ওই তালিকার বাইরেও কাউকে। এই দূরত্ববিধি মানার দায়িত্ব নিতে হবে পুলিশ এবং পুজোর উদ্যোক্তাদের।
প্রতিটি মণ্ডপে বাফার জোন রাখতে হবে। বড় মণ্ডপের থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত ব্যারিেকড করে বাফার জোন রাখতে হবে। আর ছোট মণ্ডপ গুলির ক্ষেত্রে ৫ মিটার পর্যন্ত ব্যারিকেড করে বাফার জোন ঘোষণা করতে হবে। কড়া নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।করোনা মহামারী ছড়াতে পারে এই আশঙ্কায় দুর্গাপুজো মামলায় ঐতিহাসিক রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সব পুজো মণ্ডপ গুলি কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করল হাইকোর্ট। কোনও দর্শন মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবে না। দর্শক শূন্য রাখতে হবে মণ্ডপ। কড়া নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পুজোর এলাকায় ব্যারিকেড তৈরি করে বাফার জোন তৈরি করতে হবে।