নরেশ ভকত :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ২৫ শে সেপ্টেম্বর :: বাঁকুড়া :: শুক্রবার বিষ্ণুপুর শহরের চকবাজার ইন্দিরা মার্কেটের সামনে বাম শ্রমিক সংগঠন এআইকেএসসিসি বা সারা ভারত কিষান সংঘর্ষ সমন্বয় সমিতির বাম সমর্থিত সমস্ত ট্রেড ইউনিয়নগুলি একত্রিত কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষিবিলের বিরুদ্ধে একটি পথসভার মাধ্যমে বিক্ষোভ দেখাল। এদিন কৃষক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশের কৃষকদের কাছ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিনিময়ে সরকারিভাবে ধান কেনা বন্ধ করে কেন্দ্রীয় সরকার রেশন ব্যবস্থা উঠিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করছে।
শহরাঞ্চলের বস্তিবাসীদের খাদ্য সংকটের মুখে পড়তে হবে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন উঠিয়ে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে কালোবাজারি ও মজুতদারিকে আইনত মান্যতা প্রদান করতে চাইছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। যার ফলে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে যখন তখন সবজির বাজার থেকে শুরু করে খাদ্যের বাজারে মুদ্রাস্ফীতি এবং খাদ্যের আকাল দেখা দেবে।
এই কৃত্রিম খাদ্য সংকট তৈরি হলে মজুদদার ও পুঁজিপতিদের হাতে অত্যাবশকীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ শুরু হবে। তাঁরা চড়া দামে সেই সব পণ্য বাজারে ছাড়বে। যেটা দরিদ্র ভারতবাসীর পক্ষে ক্রয় করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই কৃষি বিলের বিরুদ্ধে সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে কৃষক থেকে শুরু করে ছাত্র-যুব ও মহিলা এবং শ্রমিকরা এই আন্দোলনে শরিক হয়েছেন।
কৃষি বিল ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন যাতে প্রত্যাহার করা হয় তার দাবি জানিয়ে সমস্ত বাম সংগঠন সহ খেটে খাওয়া মানুষরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন। এদিন সিপিআই(এম)এল লিবারেশন ফ্রন্টের জেলা কমিটি সদস্য ফারহান হোশেন খান বলেন ‘জনস্বার্থ বিরোধী এই কৃষি বিলের প্রতিবাদে আজ সমস্ত স্তরের মানুষ একত্রিত হয়ে পথে নেমেছেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই সর্বনাশা বিল প্রত্যাহার না করলে গরিব মানুষ মারা পড়বে। অত্যাবশকীয় খাদ্যপণ্যের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে চলে যাবে। রাজ্য সরকার চাইলে আমাদের রাজ্যে এই বিল লাগু না করাতে পারেন। তার জন্য বিধানসভার অধিবেশনে সব বিরোধী দলকে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ করতে হবে। এছাড়া বিদ্যুতের মাত্রা ছাড়া বিলের প্রতিবাদ জানিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে বিদ্যুৎ মাশুল লাগু করার দাবি আমরা বাম সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে এই প্রতিবাদ সভায় জানাচ্ছি’।