২৪ ঘণ্টা লাইভ সম্বাদাতা / রাজিব গুপ্তা / ১লা ফেব্রয়ারি ২০২৩: বলে না জে পাপ বাপ কেও ছাড়ে না । সেই কথা কোথাও যেনো বাস্তবায়িত হতে দেখা যাচ্ছে আজ ।
কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ধারে কাঁপা মোড় থেকে শুরু করে ব্যারাকপুর ওয়ারলেস মোড় পর্যন্ত গজিয়ে উঠেছে বিভিন্ন হোটেল শিল্প এবং সেখানে যে কি করবার হয় তা কারোর অজানা থাকার কথা নয় ।
মধুশালা থেকে মধুচক্র সমস্ত রকম অসামাজিক কার্যকলাপের আঁতুরঘর রয়েছে এখানে । ঐশ মস্তি বা ফুর্তি করতে এসে কত ছেলে বা পুরুষ লুটিয়ে দিয়েছে এখানে নিজের জীবনের সমস্ত উপার্জন ।
কত মা বা বৌয়ের কান্না বা অভিশাপ রয়েছে এই প্রতিষ্ঠান গুলোতে। এক সময় বিখ্যাত ছিল কলকাতার শোভা বাজার বা বউ বাজার কিন্তু বিগত ৫ বছরে এই এলাকা হয় উঠেছে থাইল্যান্ডের শহর ব্যাংকক থেকেও বেশি বিলাসিতা ।
দিনের বেলা হোক বা গভীর রাতে, এক হোটেল থেকে দ্বিতীয় হোটেলে আসাযাওয়া লেগে থাকে মদ্যপ যুবক যুবতীদের।
গ্রাহক দের সেবায় হাজির শিবা, ছোট মিঠুন, বড় মিঠুন, রাজু নেপালি বা অন্যান্য দালাল রা। চাই যে বয়সের বা বাজেটের মেয়ে, তাদের কাছে এভেলেবল।
এক শট, এক ঘন্টা, এক রাত বা পুরো এক দিনের জন্য পাওয়া যাবে মন মোতাবিক কিশোরী, মেয়ে বা মহিলা।
অবাধ ও রমরমিয়ে চলছে এখানে এই ধরনের অসাজিক ব্যবসায়। যাতে কারোর সন্দেহ না হয় কেউ PRESS, POLICE বা ARMY র স্টিকার লাগিয়ে সাপ্লাই করছেন মেয়েছেল। যেহেতু এখনে কারোর মনে ভয় নেই প্রশাসনের ।
তাই কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ধারে চান্দুয়া অঞ্চল জুড়ে একের পর এক তৈরি হয়ে চলেছে নতুন নতুন হোটেল কাম বার ।
তাদের মধ্যে STAR নামক একটি হোটেল দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে শিরোনামে। অনেকেই এই হোটেল কে “তারাগাছি” বলে চেনেন ।
গ্রাহকদের সাথে অপব্যবহার, জোর জুলুম ছাড়া অভিযোগ রয়েছে অসাধু কাজের সব চেয়ে বড় গোডাউন হয় উঠার।
এখানে না কি সব সময় মজুদ রাখা হয় ২০ থেকে ৩০ টি “কল গার্ল” । সম্প্রতি বিগত ২৫ জানুয়ারী এই হোটেলের ১০৫ নাম্বার কামরায় হত্যার ঘটনা ঘটে এক মহিলার ।
সেই থেকে প্রশাসনের দ্বারা বন্ধ রাখা হচ্ছিলো এই হোটেল। শীল করা হয় সেই কামরা। তবে সোনা যাচ্ছে গতকাল ৩১ জানুয়ারি না কি ১০৫ নাং কামরা টি শীল থাকা অবস্থায় বাকি রুম খুলে প্রশাসনের তরফ থেকে দেওয়া হয় ব্যবসা করার অনুমতি।
কিন্তু হটাৎ আজ ভোর বেলায় হোটেলের সেই শীল করা ১০৫ নম্বর কামরায় আগুন লেগে যাওয়ার জেরে ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য।
ঘটনাটি সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ প্রথম দেখতে পারেন বলে জানিয়েছেন হোটেলের এক কর্মচারী ।
ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের দুটি ইঞ্জিন সহ বিজপুর ও যেটিয়া থানার পুলিশ, ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রামশঙ্কর গিরি।
জানা যায় ১০৫ নম্বর সহ মোট তিনটি কামরায় লেগেছে আগুন বলে জানা গিয়েছে। তবে এই হোটেলে আগুন লাগা নিয়ে সন্দেহের মুখে হোটেল কতৃপক্ষ।
কোথাও যেন কয়েকদিন আগে যে ১০৫ নাম্বার কামরায় মহিলার হত্যা থেকে কোনো সম্পর্ক ছিল না তো ?
প্রশ্ন উঠছে অঞ্চলে প্রচুর হোটেলের মধ্যে বিশেষ করে এই হোটেলেই কেনো ঘটে থাকে বিভিন্ন রকমের আপত্তিকর ঘটনা ।
কেউ কেউ বলছেন এখানে রয়েছে বাস্তু দোষ আবার কেউ বলছেন এই হোটেলে রয়ছে বহু মহিলাদের চোখের জল ও অভিশাপ ।
আর ১০৫ নং একই কামরায় পর পর দুটি ঘটনা ঘটে যাওয়ায় সকলে প্রশ্ন করছেন এখানে নতুন করে কোনো ভুত প্রেত জড়িত বাধা সৃষ্টি হয় নি তো ?
এরপরেই হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে যান অন্যান্য সমস্ত গ্রাহকরা । তারা বললেন ‘পাগল কুকুরে না কামড়ানো পর্যন্ত এই হোটেলে আর জীবনে আসবো না ।’
তবে দমকল আধিকারিক জানালেন এই হোটেলে নাম মাত্র ও অগ্নিশমাক ব্যবস্থা ছিলনা । না হলে এমন আগুন খুব অল্পতেই নিয়ন্ত্রন আনা সম্ভব ছিল ।
তারাও অন্য কিছু সন্দেহ করলেন এবং হোটেল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোথাও জানালেন ।