২৪ ঘন্টা লাইভ/ নিজস্ব সংবাদদাতা/ নিউজ ডেস্ক/ ১১ জুন ২০২৪; লোকসভা নির্বাচন শেষে সদ্যই তৃতীয় বারের জন্য কেন্দ্রে সরকার গড়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে, ভোটের আগে বারংবার ৪০০টার বেশি আসন পাবার কথা ঘোষণা করলেও ভোট পর্ব শেষে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাও পায়নি বিজেপি।
আর ঠিক সেই কারণে সরকার গড়ার জন্য দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উপর নির্ভরশীলতা দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমর্থনে ৯জুন, রবিবার শপথ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে শপথ গ্রহণের দিন অজিত পাওয়ারের এনসিপিকে নিয়ে বিজেপির ঘুম ছুটে গিয়েছিল। আবার, শপথ গ্রহণের পরের দিন চন্দ্রবাবু নায়ডুর তেলুগু দেশম পার্টি ও একনাথ শিন্ডের শিবসেনা বিজেপিকে চিন্তায় ফেলে দিল।বিজেপি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তেলুগু দেশমকে বিমান মন্ত্রক ছেড়ে দিলেও চন্দ্রবাবু নায়ডু এখনও লোকসভার স্পিকারের পদের দাবিতে অনড়। তার সঙ্গে এনডিএ-র আহ্বায়কের পদও দাবি করেছেন চন্দ্রবাবু।
তাঁর যুক্তি, অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের সময়েও তেলুগু দেশমের জি এম সি বালাযোগীকে লোকসভার স্পিকারের পদ ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। অতীতের মতো এনডিএ-র আহ্বায়কের পদও দাবি করছেন চন্দ্রবাবু।
পাল্টা চালে বিজেপি অন্ধ্রপ্রদেশেরই বিজেপি সভানেত্রী ডি পুরন্দেশ্বরীর নাম স্পিকারের পদের জন্য এগিয়ে দিচ্ছে। পুরন্দেশ্বরী তেলুগু দেশমের প্রতিষ্ঠাতা এন টি রাম রাও-এর কন্যা। সেই হিসেবে তিনি চন্দ্রবাবুর শ্যালিকা।
শ্যালিকার জন্য জামাইবাবু নিজের দাবি থেকে সরে আসতে পারেন বলে বিজেপি নেতাদের আশা। উল্টো দিকে কংগ্রেসের তরফে চন্দ্রবাবুকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, তেলুগু দেশম স্পিকার পদের জন্য প্রার্থী দিলে কংগ্রেস সমর্থন করতে পারে।
এরই মধ্যে বিজেপির চিন্তা বাড়িয়ে আর এক শরিক একনাথ শিন্ডের শিবসেনা জানিয়ে দিয়েছে, তাদেরও একটি পূর্ণমন্ত্রীর পদ দিতে হবে। শুধুমাত্র একটি প্রতিমন্ত্রীর পদে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা ভেঙে বেরিয়ে আসা শিন্ডের সেনারা খুশি নন।
শিন্ডের দল লোকসভায় সাতটি আসনে জিতে এলেও তাঁদের দলের শুধুমাত্র এক জন সাংসদ, গণপতরাও প্রতাপরাও যাদবকে আয়ুষ মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীর পদ দেওয়ায় তারা অখুশি।
আজ খোদ শিন্ডের কাছেই তাঁর দলের সাংসদ, বিধায়করা নালিশ জানিয়েছেন, বিজেপি নির্বাচনের সময় তাঁদের দলের কাজেও নাক গলিয়েছে। উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত এই সুযোগে শিন্ডের শিবসেনা, অজিত পওয়ারের এনসিপি-কে তোপ দেগেছেন।
তাঁর প্রশ্ন, এই দুই নেতা দল ভেঙে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মহারাষ্ট্রের জন্য কী পেলেন? এমনিতেই মহারাষ্ট্রে বিজেপির আর এক শরিক অজিত পওয়ারের এনসিপি-র নেতা প্রফুল্ল পটেল রবিবার মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেননি।
কারণ বিজেপি তাঁদের প্রতিমন্ত্রীর পদ দিলেও অজিত পওয়ার-প্রফুল্ল পটেল দু’জনেই পূর্ণমন্ত্রীর পদের দাবিতে অনড়। এমতাবস্থায়, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না মেলায় বিজেপি এখন মন্ত্রীত্ব বন্টনের বিষয়ে অনেকটাই চাপে পড়েছে বলা যায়।