২৪ ঘন্টা লাইভ সংবাদদাতা / কোলকাতা/ ৩ নভেম্বর ২০১৯: বাংলার সাংস্কৃতিক সমাজ সাক্ষী রইলো গত ৩ বছর ধরে চলে আসা একটি গৌরবময় অনুষ্ঠানের। জ্যোতিষ ও জ্যোতিষ সমিতি, সর্বভারতীয় ব্রাহ্মণ পরিষদ, সংস্কৃত সংস্কৃতি, বেলুড় ও যুব- আজ এই চারটি সংগঠন গুলো আয়োজন করে ‘পুরোহিত শারদ সম্মান -২০১৯’। আজকাল, দুর্গা পূজা কেবল বাঙালিরই ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি সকলের জন্য একটি বড় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে পড়েছে। এতে আবার প্রচুর আকারে অর্থ ও ব্যয় করা হয়। শুধু বাংলায় বা ভারতে নয়, সারা বিশ্বের বাঙালিরা এই দুর্গা পূজাতে অংশ নিয়ে থাকেন । আয়োজন হয় আলো সয্যা, ভাবনা, প্যান্ডেল, প্রতিমা, পরিবেশ নিয়ে প্রতিযোগিতার। তবে যাদের ছাড়া মানুষ পুজো করে অসম্পূর্ণ থেকে যায়, সেই ব্রাহ্মণ পুরোহিতরা কোনও পুরষ্কার কি পান? না! তার মানে কোথাও না কোথাও তারা অবহেলিত হিসাবে থাকতেন। সেই কারণেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল AAWA, যে তারা এই পুরোহিতদের জন্য একটি সম্মানের অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবে।
তারা তাদের সদস্যদের কয়েকটি ছোট ছোট দলে ভাগ করে বিভিন্ন প্যান্ডেল নিরীক্ষণ করায়। সেখান থেকে তারা বেছে নিয়ে আজ ৬২৫ জন পুরোহিতকে পুরষ্কার দিচ্ছে। এইদিন অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। মঙ্গলচরণ, দেবী দুর্গার প্রনাম মন্ত্র সহ অঞ্জলি এবং দ্বার উদ্বোধনী তে প্রদীপ প্রজ্বলন করে। পণ্ডিত অর্ণব ঘোষাল, নিমাই পণ্ডিত, আত্মানন্দ মহারাজ, জয়ন্ত গোস্বামী, রঞ্জন পাঠক, ব্রাহ্মানন্দ সরস্বতী, বিখ্যাত নৃত্য কোরিওগ্রাফার কোহিনূর সেন বোরাট এবং এই ইভেন্টে উপস্থিত ছিলেন মৌবাণী সরকার প্রমুখ। তারা ঘটনাটি তাই করেছে মনোমুগ্ধকর এবং একটি সুন্দর পরিবেশ তাদের উপস্থিতি দ্বারা অবস্থিত ছিল, কমনীয়তা এবং বক্তৃতা। ইভেন্টটি খুব মিউজিক্যাল হয়ে গিয়েছিল শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়, অদিতি মুন্সি প্রমুখের কন্ঠস্বর এবং তারপরে মূল যা আয়োজন ছিলো- পুরষ্কার প্রদান।
পুরোহিতদের সম্মানের এই অনুষ্ঠানে AAWA এর সভাপতি রমা সান্যাল ও জেনারেল সেক্রেটারি ডঃ দেবাশীষ গোস্বামী বলেন যে এই ধরনের আয়োজন প্রতিবছর আরও বেশি ভালো ভাবে করা হবে।