BREAKING NEWS :: সরকারিভাবে টিকা বিতরণের পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট

0
235

নিউজ ডেস্ক :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ১আ মে :: নিউদিল্লি :: কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের করোনাভাইরাসের টিকা কেনা এবং বেসরকারিভাবে টিকা বিক্রির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। গতকাল শুক্রবার সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, ‘এই সময়ে সরকার কেন উৎপাদিত টিকার শতভাগ কিনছে না? কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের জন্য দুই দাম হবে কেন, যৌক্তিকতা কী ?

কেন্দ্রীয় সরকার টিকা নীতিতে পরিবর্তন এনে রাজ্য সরকার এবং বেসরকারি খাতকে সরাসরি উৎপাদকদের কাছ থেকে টিকা কেনার সুযোগ দিয়েছে। টিকা প্রস্তুতকারকেরা এখন ৫০ ভাগ টিকা রাজ্য সরকার এবং খোলাবাজারে বিক্রি করতে পারবেন। এতে টিকা কেনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ও রাজ্যপর্যায়ে দামে হেরফের হচ্ছে। নীতিতে এ পরিবর্তন আনায় সরকারের সমালোচনা চলছে।

এ পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে টিকাদানের যে জাতীয় মডেল অনুসরণ করা হয়েছে, সেটাই এখনো অনুসরণ করতে হবে।

ভারত সরকার সেরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকা এবং ভারত বায়োটেক উৎপাদিত কোভ্যাকসিন কিনে বিতরণ করছে। তারা প্রতি ডোজ টিকা কিনছে ১৫০ রুপিতে। এ টিকা সব রাজ্যকে বিনা মূল্যে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে চাহিদা পূরণের জন্য রাজ্যগুলো বাড়তি টিকা কিনতে চাইলে সেই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে ভারত বায়োটেক রাজ্যের জন্য প্রতি ডোজের দাম ৬০০ রুপি এবং সেরাম ইনস্টিটিউট ৪০০ টাকা  ঘোষণা করে। পরে সমালোচনার মুখে ভারত বায়োটেক দাম ৪০০ এবং সেরাম ৩০০ টাকাতে নামিয়ে আনে।

Advertisement 8240054075

সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, ‘দাম খুব গুরুতর বিষয়। গরিব মানুষ টিকা নেওয়ার টাকা কোথায় পাবে? আমাদের এই প্রাইভেট সেক্টর মডেল হতে পারে না।’ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য হোস্টেল, মন্দির ও মসজিদকে কোভিড সেন্টারে রূপান্তর করা উচিত বলে অভিমত দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
কোভিড নিয়ে তথ্যে বাধা নয়

সুপ্রিম কোর্টের শুক্রবারের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নাগরিকেরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের দুর্দশার কথা তুলে ধরলে সরকারি কর্তৃপক্ষ কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। এ নিয়ে কোনো নাগরিক হয়রানির শিকার হলে তা আদালত অবমাননার শামিল বলে গণ্য হবে।

Advertisement

 

Advertisement

একজন বিচারপতি বলেছেন, ‘একজন নাগরিক বা একজন বিচারক হিসেবে এটা আমার কাছে গভীর উদ্বেগের। নাগরিকেরা যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন, তাহলে আমরা তথ্যের প্রবাহ আটকাতে চাই না। আসুন, আমরা তাঁদের কথা শুনি। কোনো নাগরিক হাসপাতালের বেড বা অক্সিজেন চাওয়ার জন্য হয়রানির শিকার হলে আমরা তা অবমাননা হিসেবে বিবেচনা করব। আমরা একটা মানবিক সংকটের মধ্যে আছি।’ পরিস্থিতিকে “ভয়ানক” আখ্যায়িত করে তিনি বলেছেন, এমনকি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও হাসপাতালে শয্যা পাচ্ছেন না।

টুইটার কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে ভারত সরকারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু টুইট মুছে ফেলার তথ্য নিশ্চিত করে। তখন সরকারি কর্মকর্তারা বলেছিলেন, কোভিড–সংক্রান্ত ‘মিথ্যা তথ্য’ ছড়ানোর জন্য ওই সব পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here