BREAKING NEWS :: ছত্তিসগড় এ মাওবাদী হামলায় ২২ নিরাপত্তারক্ষী নিহত !

0
266

২৪ ঘন্টা লাইভ নিউজ ডেস্ক :: ৫ই,এপ্রিল :: ছত্তিশগড় :: ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর কমপক্ষে ২২ সদস্য নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সরকারি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। এ বছরে এটাই চরম বামপন্থী বিদ্রোহী গ্রুপটির অন্যতম বড় আক্রমণের ঘটনা। এর আগে পাঁচজন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছিলেন বলা হয়েছিল। পরে আরও ১৭ জন নিহতের খবর জানা গেছে।

গত শনিবার ছত্তিশগড়ের দক্ষিণ বস্তার জঙ্গলে এ সংঘর্ষ ঘটে। সাম্প্রতিক সময়ে মাওবাদী হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে এটি বড় হতাহতের ঘটনা। ভারতের সিআরপিএফের কোবরা বাহিনী, রিজার্ভ পুলিশ গার্ড ও স্পেশাল টাস্কফোর্স যৌথ অভিযান চালানোর সময় মাওবাদীদের সঙ্গে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছত্তিশগড় রাজ্যের রাজধানী রায়পুরের একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, ‘মাওবাদী বিদ্রোহীদের হাতে আমরা ২২ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হওয়ার খবর পেরেছি।’

রায়পুর থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে সীমান্তবর্তী সুকুমা জেলায় কমপক্ষে চার ঘণ্টার লড়াইয়ে তাঁরা গুলিতে মারা যান। রায়পুরের এক পুলিশ কর্মকর্তা ওম প্রকাশ পাল বলেন, ওই বাহিনীর একজন নিখোঁজ সদস্যকে উদ্ধারে পরে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিরাপত্তারক্ষীদের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন দুজনই। পরে টুইটারেও এ নিয়ে শোক প্রকাশ করেন তাঁরা।

মাওবাদীরা, যারা নকশাল নামেও পরিচিত, তারা কয়েক দশক ধরে সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ করে আসছে। মাওবাদী নেতারা বলেন, তাঁরা সেসব গরিবের জন্য লড়াই করেন, যারা এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির অর্থনৈতিক উন্নতি থেকে কোনো সুবিধা পায়নি। তাঁরা গভীর বনের মধ্যে থেকে ভারতীয় প্রশাসন ও সেনাদের বিরুদ্ধে গোপন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। শনিবারের ওই হামলার দায় অবশ্য স্বীকার করেনি বিদ্রোহী গ্রুপটি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের সঙ্গে লড়াইয়ে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, এই দুঃসাহসীদের মহান আত্মত্যাগ কখনোই ভোলা হবে না। আহত ব্যক্তিরা দ্রুত সেরে উঠুন।’ গত মাসে ছত্তিশগড়ের অন্য আরেকটি জেলায় বিস্ফোরণে পাঁচ পুলিশ সদস্য নিহত ও অনেকে আহত হন। পুলিশের দাবি, ২০ জন নিরাপত্তা সদস্যকে বহনকারী একটি বাসকে লক্ষ্য করে মাওবাদীরা ওই হামলা চালিয়েছিল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here