আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ৩০শে জানুয়ারি :: চন্দননগর :: হঠাৎ করেই গতকাল চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীরের পদত্যাগ ঘিরে এলাকা জুড়েই কিন্তু রাজনৈতিক কল্পনার জাল ক্রমেই ঘন হয়ে উঠছে ।বিশেষ করে এই পদত্যাগের কিছুদিন আগেই ডঃ কবিরের স্ত্রী অনিন্দিতা দাস কবীরের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান নিয়েই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে । আসুন আমরা দেখেনেব এই জল্পনার প্রেক্ষাপট কি ?
হুমায়ুন কবীর চন্দননগর পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার মাস খানেক আগেই তাঁর স্ত্রী অনিন্দিতা দাস কবীর যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। বিগত নির্বাচন থেকেই তাঁর প্রার্থী হওয়ার জল্পনা শুরু হয়েছিল। তবে কি ২০২১-এ সেই সম্ভাবনাই সত্যি হতে চলেছে।হুমায়ুন কবীর বরবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-ঘনিষ্ঠ পুলিশ অফিসারদের মধ্যে একজন ছিলেন।
তিনি হঠাৎ করেই নির্বাচনের আগে পদত্যাগ করলেন কেন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ কমিশনারের ঘরের লোক শাসক দলে যোগ দিতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। আর মাস তিনেক পরেই অবসর, তার আগে চাকরি ছাড়লেন হমায়ুন। স্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ স্লোগান তোলার পর স্বামীর পুলিশে চাকরি করায় কি সমস্যা তৈরি হয়েছিল ?
পুরোটা না হলেও কিন্তু কিছুটা সামাজিক এবং রাজনৈতিক চাপ যে বাড়ছিল তা হয়ত অস্বীকার করা যাবেনা । রোড শোয়ে ‘গোলি মারো…’ স্লোগান দেওয়ার জন্য বিজেপির তিন কর্মীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়ার পর সাত দিন কাটতে না কাটতেই বাংলার এবং হুগলি জেলার শীর্ষ পুলিশ কর্তা ডঃ হুমায়ুন কবীর পদত্যাগ করলেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে।বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে খুশি করার জন্যই বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তবে ঘটনা যাই হোক ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন হুমায়ুন কবীর। কেন তিনি পদত্যাগ করলেন, তা কয়েক দিন পরে জানাবেন বলেও মন্তব্য করেন হুমায়ুন। তিনি পদত্যাগপত্রে চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন।তবে রাজনীতিতে আসছেন কিনা তা স্পষ্ট করে কিছু জানাননি । অবসরের পর কি করবেন সেই বিষয়ে স্থির কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি বলেই ডঃ কবীরের বক্তব্য থেকে মনে হয়েছে ।